সংক্ষিপ্ত

পুরুষরাও খুবই দ্রুত নিজেকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। তবে তার জন্য চাই একটি পরিকল্পনা। হাতের কাছে থাকা এই জিনিসগুলি গুছিয়ে রাখুন। তৈরি করুন সেলফ কেয়ার কিট

আধুনিক এই সময় রূপচর্চায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে পুরুষরা। এটা কিন্তু একদিক দিয়ে ভালো। কারণ বর্তমানে প্রবল দুষণের এই কারণে তাদের ত্বক আর চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি। আজ আমরা আলোচনা করব পুরুষদের সেলফ কেয়ার কিট নিয়ে। কারণ বর্তমানে অনেকেই মনে করছেন পুরুষদের সেফল- কেয়ারের জন্য গ্রুমিং কিটের কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটা খুবই ভুল ধারণা। কারণ প্রবল এই ব্যস্ততার সময়ে প্রত্যেক পুরুষেরই সেলফ কেয়ার কিটের প্রয়োজন রয়েছে। 

আসুন এক নজরে দেখে নিয়ে কী কী রাখতে হবে এই কিটে-
১. হেয়ার ট্রিমার- 
আপনি বলতেই পারেন আপনি আপনার চুল ও দাড়ি কাটার জন্য একই ডিভাইস ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কারণ দাড়ির তুলনায় চুল বেশি লম্বা হয়। টাই দুটি কাজের জন্য আলাদা ডিভাইস ব্যবহার করুন। তাই দাড়ি কাটার ট্রিমার থাকলেও সঙ্গে চুল কাটার ট্রিমার নিন। 
২.মাল্টি টাস্কিং বিয়ার্ড ট্রিমার-
এই জাতীয় ট্রিমার দাড়ি কাটে। পাশাপাশি মানুষ মুখের আরও বেশ কিছু যত্ন নেওয়ার কাজও করতে পারে। এজাতীয় ট্রিমার দিয়ে মাথার চুল ও কাটা যায়। পাশাপাশি একাধিক স্ট্যাইল করা যায়। 
৩. লাইট ওয়েট বিয়ার্ড ডিলার-
অন্য সকলের থেকে এটি আলাদা। কারণ ভ্রু, নাকের রোম, চুল, দাড়ি এগুলির বৃদ্ধি একই রকম হয় না। তাই এটি রাখলেও আলাদা রাখাই শ্রেয়। 
৪. বডি গ্রুমার
এর সাহায্যে আপনি মসৃণ চেহারা পেতেই পারে। কয়েক সপ্তাহ বা  এক মাস অন্তর এটি ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি যেমেন রিফ্রেস হতে পারেন, তেমনই ত্বকে আরে মস্মৃণতা। 
৫. ব্লো ড্রায়ার-
এটির তাপ আপনার চুল নিমেশেই শুকিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ঘরে বসেই আপনি চুলে যে কোনও স্ট্যাইল করতে পারে। আপনাকে সামন্য চুলের স্টাইলের জন্য আর পার্লার যেতে হবে না। 
৬. সেফটি রেজার- 
এটি সর্বদা নিজের কাথে রাখুন। আপনি ভুলেও নাপিতের কাছে যাবে না। সেফটি রেজার একদিকে আপনার খরচ অনেক কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি ত্বক আগের তুলনায় মসৃণ করতে পারে। 
৭. আফটার শেভ
তেল বা লোশন আকারে পাওয়া যায় এটি। যেদি জীবাণু নাশক সেটি ব্যবহার করুম। ত্বকে কোনও রকম ব়্যাশ হতে দেয় না এটি। 
৮. শেভিং ক্রিম-
সঙ্গে অবশ্যই শেভিং ক্রিম রাখুন। আপনি যে ব্র্যান্ডটি ব্যবহার করেন সেটিই সঙ্গে রাখুন। 
৯. আফটার শেভ টোনিং-
আফটার শেভ বাম ব্যবহার করুন। এটি জীবাণু দূর করে। পাশাপাশি ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।