সংক্ষিপ্ত
তিন জন শিল্পী, বিখ্যাত বাউল গায়ক বাবু ফকির, কোক স্টুডিও খ্যাত ভাটিয়ালি গায়ক সৌরভ মণি এবং বর্ধমানের ডোকরা শিল্পী শুভ কর্মকার কলকাতা থেকে লন্ডন আসছেন এর জন্য সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিভাগের Regional Craft and Cultural Hubs project এবং বিশ্বখ্যাত UNESCO।
২০২২ আড্ডার দশম পূর্তি যা আড্ডা পালন করতে চেয়েছিলো বর্ষব্যাপি দশটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সরস্বতী পূজার মাধ্যমে যেটা শুরু হয়েছিলো সেটা শেষ হতে চলেছে কালীপুজাতে। আড্ডা প্রথমে তার কালীপূজার জন্যই বিখ্যাত হয়েছিলো আর এই পূজা শুরু হয়েছিলো ২০১৫ সালে, সুতরাং ২০২২ আড্ডা পূজার সপ্তম বর্ষ।
আড্ডার কালীপূজা বিখ্যাত তার ঐতিহ্যপূর্ণ পূজা আয়োজনের জন্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোভনীয় বাঙালী খাওয়া দাওয়ার জন্য যার মধ্যে থাকে ভোগে নিরামিষ মাংস, শীতকালীন মিষ্টি যেমন গুড়ের রসগোল্লা, সন্দেশ ও গুড়ের পায়েস। সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন আতসবাজি প্রদর্শনী তো আছেই। এবছর পূজা হচ্ছে ২২ অক্টোবরে। কিন্তু এবারের কালীপূজার মূল আকর্ষণ হলো বাউল ও লোকসংস্কৃতি উৎসব।
তিন জন শিল্পী, বিখ্যাত বাউল গায়ক বাবু ফকির, কোক স্টুডিও খ্যাত ভাটিয়ালি গায়ক সৌরভ মণি এবং বর্ধমানের ডোকরা শিল্পী শুভ কর্মকার কলকাতা থেকে লন্ডন আসছেন এর জন্য সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিভাগের Regional Craft and Cultural Hubs project এবং বিশ্বখ্যাত UNESCO।
যদিও আড্ডা এবছর স্বনামধন্য গায়ক পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং অঞ্জন দত্ত এসেছেন দশ বছর পূর্তিতে কিন্তু লোক সংস্কৃতি ছাড়া বাংলার সংস্কৃতি চিরকালই অসম্পূর্ণ, তাই আড্ডার এই উদ্যোগ। আড্ডা ছাড়াও এই শিল্পীরা লোকসংস্কৃতি উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন যুক্তরাজ্যের আরেক স্বনামধন্য রেডিংয়ের সংস্কৃতি কালীপূজায় ২৪ অক্টোবরে। সংস্কৃতির যাত্রা শুরু ২০০৭ সালে বিলেতে বাংলা সাংস্কৃতিক সংস্থা হিসাবে। সংস্কৃতি বিখ্যাত প্রতি গ্রীষ্মে সঙ্গীতোৎসব এবং শরতে কালীপূজার জন্য। এখনো পর্যন্ত সংস্কৃতির সঙ্গীতোৎসবে এসেছেন কবীর সুমন, লোপামুদ্রা মিত্র, সৌরেন্দ্র ও সৌম্যজিৎ জুটি এবং দোহার। এবছর এসেছিলেন ইমন চক্রবর্তী।
এছাড়াও সংস্কৃতি ভারতের সংস্থা স্বাধীনার সঙ্গে মিলে অন্ত্যজ শ্রেণীর মহিলাদের মধ্যে লেখাপড়ায় ও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে। যে বাউলের দল Birkbeck College, University of London এও perform করবে তাদের দীপাবলি উৎসবে। এবারে UNESCO, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, আড্ডা ও সংস্কৃতির এই উদ্যোগ বিলেতের জনমানসে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।