সংক্ষিপ্ত
- খাবার তৈরির সময় কতটা তেল দেবেন জানুন
- সব তেলেই কম বেশি উপকারিতা থাকে
- জেনে নিয়ে তা ব্যবহার করুন
- জানুন সাত তেলের ব্যবহার
খাবার রান্নার সময় কোন তেলে রান্না করা হবে সেই নিয়ে এখন অনেকেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। বেশি তেলের ফলে শরীরের নানা সমস্যা হতে পারে। সেই দিকে নজর দিয়েই সকলে তেলের পরিমাণ কমিয়েই রান্না করা পচ্ছন্দ করে থাকেন। কিন্তু সব তেলেই কিছু না কিছু গুণাগুণ আছে। তা জানা থাকলেই কোন ক্ষেত্রে, কার জন্য কোন তেল ব্যবহার করা উচিত তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে আরও রোগ চেপে বসে! প্রথম থেকেই ১০ সহজ উপায় মেনে এড়ান এই অসুখ
জেনে নিন সাতটি তেল ব্যবহারের উপকারিতা কীঃ
১) সূর্যমুখী তেলঃ এই তেল এখন কম বেশি সব জায়গাই ব্যবহৃত হয়। এতে দেহের কোলেস্ট্রলের মাত্রা অনেকটা কমে যায়। তাই এই তেল দিয়ে রান্না করলে উপকার মেলে।
২) নারকেল তেলঃ নারকেল তেল দিয়ে রান্নার চল ভারতের দক্ষিণে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই তেলে রয়েছে ভেসজ ফ্যাল, তবে নেই কোলেস্ট্রলের সমস্যা। ফলে এই তেল অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করা যেতে পারে।
৩) ঘিঃ যাদের শরীরে পুষ্টির দরকার, সুস্বাস্থের অবনতি ঘটেছে, তাদের জন্য ঘি দিয়ে রান্না করা খাবার খুবই উপকারী। এতে শরীরের দুর্বলভাব কেটে যায়।
৪) বাদাম তেলঃ সুস্বাদু খাবারে এই তেলের ব্যবহার খুব বেশি হয়ে থাকে। এই তেলে কোলেস্ট্রলের মাত্রা অনেকটা কমিয়ে দেয়। শরীরের পক্ষেও এই তেল স্বাস্থ্য কর।
৫) সরিষার তেলঃ এই তেল অতিমাত্রায় ব্যবহার করা উচিত নয়। কিন্তু প্রতিদিনের খাবারে এই তেল পরিমাণ মতন ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এতে উচ্চমাত্রায় মনো-আনস্যাটুরেটেড এবং পলি-আনস্যাটুরেটেড উপাদান রয়েছে।
৬) রাইস ব্র্যান তেল : এই তেলে কোলেস্ট্রল কমানোর উপাদান রয়েছে এই তেলে। সঙ্গে রয়েছে প্রাকৃতিক ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই তেল দিয়ে রান্না করলে আয়ো বেশি থাকে। খাবারে তেল কম প্রবেশ করে।
৭) অলিভ ওয়েল : মনো-আনস্যাটুরেটেড এই তেল বাজে কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। তবে কম আঁচের রান্নায় এই তেল খুবই ভালো। বেশি এই তেল খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।