সংক্ষিপ্ত
অর্ধিকাংশ পরিবারে মা-বাবা (Parents) দুজনকেই কর্মরত। ফলে প্রয়োজন মতো মা-বাবাকে না পাওয়ার জন্য একা একা নিজের মতো বড় হয় বাচ্চারা (Kids)। এর থেকে তাদের নানা রকম সমস্যাও (Problems) দেখা দেয়। এর মধ্যে ঘরকুনো স্বভাব, রাগ (anger) ও বদমেজাজের মতো আচরণ দেখা দেয়। এই সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। কারণ, এর থেকে পরে মানসিক সমস্যা (Mental Problems) দেখা দিতে পারে।
আজকের দ্রুত গতির দুনিয়ায় মা-বাবা (Parents) দুজনকেই বের হতে হচ্ছে চাকরির (Job) জন্য। বাড়িতে দাদু-দিদা থাকলেও, বাচ্চা বড় হচ্ছে কাজের দিদি বা মাসির কাছে। প্রয়োজন মতো মা-বাবাকে না পাওয়ার জন্য একা একা নিজের মতো বড় হয় আজকালকার বাচ্চা (Kids)। এর থেকে তাদের নানা রকম সমস্যাও (Problems) দেখা দেয়। এর মধ্যে ঘরকুনো স্বভাব, রাগ (anger) ও বদমেজাজের মতো আচরণ দেখা দেয়। এই সমস্যা অধিকাংশ মায়েরাই উপেক্ষা করে যান। সকলে ভাবেন বয়সের সঙ্গে সব পরিবর্তন হবে। কিন্তু, তা নয়। বাচ্চার মধ্যে এমন পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, এর থেকে পরে মানসিক সমস্যা (Mental Problems) দেখা দিতে পারে। দেখে নিন বাচ্চার কোন কোন আচরণগত পরিবর্তন প্রসঙ্গে সতর্ক হবে।
পড়লে বললে রেগে যাচ্ছে, খাওয়ার কথা বললে রাগ দেখাচ্ছে। যাই বলছেন, বাচ্চা তাতেই রাগ। বাড়ির কাউকে যেন সহ্য করতে পারছে না সে। বাচ্চার মধ্যে রাগ-ক্রোধ (Anger) থাকবে তা স্বাভাবিক। কিন্তু, অধিক রাগ বা ক্রোধ মোটেই ভালো না। ছোট খাটো বিষয় রাগ করতে দেখলে তাকে থামান। বোঝান কেন রাগ করা খারাপ, তার সমস্যার সমাধান করুন। এতকিছু করেও রাগ না কমলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
অনেক বাচ্চা (Kids) আছে, যারা একটু বেশিই সংবেদনশীল (Sentimental)। একটু কিছু বললেই নয় রেগে যায়, নয়তো কাঁদে। কিছু বলার উপায় নেই। তবে, বাচ্চা সংবেদনশীল বা সেন্টামেন্টাল বলে তার সব ভুল মেনে নেবেন, এমন নয়। সত্যি তাকে বলুন এভং সঠিক শিক্ষা দিন। যদি দেখেন, সবেতেই বাচ্চা এমন করছে তাহলে ডাক্তার দেখান। এই সমস্যা থেকে মানসিক রোগ তৈরি হতে পারে।
অধিক আবেকও কোনও কিছুতে ভালো নয়। আবেগেরও (Emotion) একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকা উচিত। তেমনই টেনসন বা দুঃশ্চিন্তা করা অনেক বাচ্চার স্বভাব (Habits) থাকে। পরীক্ষার নাম শুনলে দুঃশ্চিন্তা, শিক্ষকের নাম শুনলে চিন্তা- এমন হওয়া অনুচিত। অনেকেই আছে এই দুশ্চিন্তার জন্য পরীক্ষার আগে দিনের পর দিন ঘুমাতে পারে না। এমন অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে সতর্ক হন। আর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ (Doctors advice) নিন।
করোনার (Corona) জন্য গত দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ। বাড়িতে কমপিউটারে মুখ গুঁজে বাচ্চাদের দিন কাটছে। এর থেকে ঘরকুনো, লাজুক প্রকৃতির স্বভাব দেখা দিচ্ছে। বাচ্চার (Kids) মধ্যে এমন পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হন। অধিক ঘরকুনো ও লাজুক স্বভাব মোটেই স্বাভাবিক নয়। তাকে বোঝান এবং আচরণের পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করুন। একান্ত না পারলে কাউন্সিলিং করান। না-হলে পরে বিপদে পড়তে হবে।