সংক্ষিপ্ত
- গ্রিন-টি খাওয়ার চল বেড়েছে আজকাল
- কিন্তু গ্রিন-টি নয়, ব্ল্য়াক-টি বেশি উপকারী
- ব্ল্য়াক-টি ক্য়ানসার প্রতিরোধ করে
- ব্ল্য়াক-টি পেটের পক্ষেও খুব ভাল
ব্ল্য়াক-টি তে থাকে ক্য়াটেচিনস, দেফ্ল্যাভিনস, দেআরুবিগিনসের মতো অনেক পলিফেনল, যা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন ক্রমিক ডিজিজের ঝুঁকি কমিয়ে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য় ভাল রাখে।
চায়ে থাকে ফ্ল্য়াবনয়েড অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট, যা হার্টের স্বাস্থ্য় বজায় রাখতে সাহায্য় করে। এই ফ্ল্য়াবনয়েড থাকে শাকসবজি, ফল, রেডওয়াইন, ডার্ক চকোলেটে। এই ফ্ল্য়াবোনয়েডস হাই ব্লাডপ্রেসার ও কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ওবেসিটি কমিয়ে হার্টের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করে। ১২ সপ্তাহ ধরে যদি কেউ ব্ল্য়াক টি খেতে থাকে তাহলে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমে ব্লাড সুগার লেভেল। সেইসঙ্গে কমে এলডিএল ও এইচডিএলের মাত্রাও।
আর একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রোজ যদি কেউ তিনকাপ ব্ল্য়াক-টি খায়, তার হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমে ১১ শতাংশ। কাজেই যদি আপনি রোজ আপনার ডায়েটে রোজ এটি রাখেন, তাহলে অ্য়ান্টি অক্সিডেন্টের পর্যাপ্ত জোগান পাবেন। এবং সামগ্রিকভাবে আপনার শরীর ভাল থাকবে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্ল্য়াক-টি এলডিএল কোলেল্টেরল কমায়। আরেক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রোজ যদি কেউ ৫ কাপ মতো এই চা খায়, তাহলে যাদের কোলেস্টেরল মাত্রা সামান্য় বেশি আছে, তাদের ১১ শতাংশ এলডিএল কমে। আমাদের গাট-হেল্থে সাহায্য় করে এই চা। ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ কমায়। ব্ল্য়াক-টিতে থাকা পলিফেনল গুড ব্য়াকটেরিয়া বাড়াত সাহায্য় করে ও ব্য়াড ব্য়াকটেরিয়া কমাতে সাহায্য় করে।
পলিফেনল ছাড়াও, ব্ল্য়াক-টিতে থাক অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপার্টিজ। যা আমাদের গাট-ব্য়াকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য় করে এবং ডায়েজেসটিভ ট্র্য়াকের লাইনিং সারাতে সাহায্য় করে। ইমিউন ফাংশন বাড়াতে সাহায্য় করে। সারা বিশ্বে যত মৃত্য়ু হয় তার মধ্য়ে স্ট্রোক দ্বিতীয় স্থানে আছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্ল্য়াক-টি এই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। ব্লাড সুগার লেভেল কমাতেও পারে এই চা। পলিফেনলস নামক এই অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ক্য়ানসার কোষ কমাতে সাহায্য় করে। এতে থাকা ক্য়াফিন ও অ্য়ামাইনোঅ্য়াসিড, যা ব্রেনের আলফা অ্য়াকটিভিটি বাড়িয়ে মনঃসংযোগ ও সজাগ হওয়াতে কাজে লাগে।