সংক্ষিপ্ত
- বাঁধাকপির কৌলিন্য় ফুলকপির চেয়ে কিছুটা কম ঠিকই
- কিন্তু এর উপকার কিছু কম নয়
- এটি হার্টের পক্ষে খুবই ভাল
- এতে থাকে অ্য়ান্থোসিয়ানিন
ফুলকপির চেয়ে কৌলিন্য়ে হয়তো কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বাঁধাকপি। তবে, স্বাদে না-হলেও গুণে কিন্তু এগিয়ে রয়েছে বাঁধাকপি।
এককাপ, মোটের ওপর ৯০ গ্রাম কাঁচা বাঁধাকপি থেকে পাওয়া যায় ২২ ক্য়ালোরি, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফাইবার ২ গ্রাম। এছাড়া এতে থাকে, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি, ফোলেট, ম্য়াঙ্গানিজ, ভিটামিন-বি-৬, ক্য়ালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্য়াগনেশিয়াম, ভিটামিন-এ, রাইবোফ্লেবিন, আয়রন।
উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকার সঙ্গে, পলিফেনলেপের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ও সালফার কমপাউন্ড থাকে বাঁধাকপিতে। অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ভাল পরিমাণে থাকায় প্রদাহ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। ভিটামিন-সি বেশি থাকায়, লাং ক্য়ানসারের মতো বিভিন্ন ধরনের ক্য়ানসারের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্য়ে ইনসলিউবেল ফাইবার থাকায়, ডায়জেসটিভ সিস্টেমকে স্বাস্থ্য়কর রাখে। বাঁধাকপিতে থাকে ৩৬ রকমের অ্য়ান্থোসিয়ানিন থাকায় তা বিভিন্ন হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমিয়ে হার্টের সুরক্ষায় কাজ করে। পটাশিয়াম আমাদের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে। কারণ তা ইউরিনের মধ্য়ে দিয়ে শরীর থেকে সোডিয়াম বার করে দেয়। যার ফলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাঁধাকপিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। সেই কারণে, শীতকালীন এই সবজিটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে। বাঁধাকপি খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এতে ফ্য়াট সলিউবেল ভিটামিন-কে পাওয়া যায় খুব ভাল মাত্রায়। ভিটামিন-কে আবার রক্ত জমাট বাধায় কাজ করে। অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের ঝুঁকি কমায়।
এই বাঁধাকপি বিভিন্নভাব খাওয়া যায়। শুধু রান্না করা তরকারিই নয়। সেইসঙ্গে, স্য়ালাডে চলতে পারে, স্য়ুপে চলতে পারে, স্টুটে চলতে পারে। তাই নিয়মিত খাদ্য়তালিকায় রাখুন বাধাকপি। ফুলকপির মতো সুস্বাদু নয় বলে একে দূরে সরিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।