সংক্ষিপ্ত
- প্রত্যেকের জীবনেই ওঠাপড়া লেগে থাকে
- প্রেমের সম্পর্ক থাকলে যে তাকে ভুল বোঝাবুঝিও হবে তা বলাই বাহুল্য
- প্রেম হলে বিরহও তার সঙ্গে আসবে
- তবে প্রেমে সমস্যা হলে কে কী ভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল দেবে তা ব্যক্তির উউপরে নির্ভর করে
প্রত্যেকের জীবনেই ওঠাপড়া লেগে থাকে। প্রেমের সম্পর্ক থাকলে যে তাকে ভুল বোঝাবুঝিও হবে তা বলাই বাহুল্য। প্রেম হলে বিরহও তার সঙ্গে আসবে। তবে প্রেমে সমস্যা হলে কে কী ভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল দেবে তা ব্যক্তির উউপরে নির্ভর করে। কেউ আবেগের বশে নিজের রাগ প্রকাশ করে ফেলে। কেউ আবার সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে চুপ করে যায়। কেউ আবার সঙ্গীর সামনেই কেঁদে নিজের দুঃখ প্রকাশ করেন।
অনেকেই বলে সঙ্গীর সামনে নিজের দুর্বলতা দেখানো ঠিক না। আবেগের সময়ে কতটা ভেঙে পড়েন, তা সঙ্গী দেখে ফেললে, আপনার গুরুত্ব কমে যায়। হয়তো কিছু ক্ষেত্রে তা ঠিক। কিন্তু নিজের ভিতরে কী চলছে তা যদি সঙ্গীর থেকে লুকোতে হয়, তা হলে কি তার সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা যায়! তাই মনোবিদরা বলছেন, কান্না পেলে সঙ্গীর সময়ে নিজেকে আটকাবেন না।
এছাড়াও মনোবিদরা বলছেন, আবেগ, দুঃখ, অভিমান যত ভিতরে চেপে রাখবেন ততই তা বাড়তে থাকবে। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা মাথায় চেপে বসবে। আর ততই অবসাদ, একাকিত্ব ভর করতে থাকবে। সম্পর্কেও স্বাভাবিক ভাবেই কুপ্রভাব পড়বে।
অনেকে মনে করেন কাঁদলে মানুষকে দুর্বল মনে হয়। কিন্তু তা কিন্তু ঠিক নয় সব সময়ে। বরং কাঁদছেন মানে সম্পর্কের গুরুত্বও রয়েছে। এমনই বলছেন রিলেশনশিপ কনসালট্যান্টরা। যাঁরা কেঁদে ফেলতে পারেন, তাঁরা ভিতর থেকে অনেক তাড়াতাডি় হালকা অনুভব করেন। এঁরা আত্মবিশ্বাসী ও সৎ হন বলেও জানাচ্ছেন মনোবিদরা।
সর্বোপরি, নিজে যেমন সঙ্গীর সামনে তেমনটাই প্রকাশ করুন। একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা থাকলে প্রথম থেকেই নিজেদের চরিত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহল হওয়াটা প্রয়োজন। তা না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। আর সঙ্গীর সামনে যদি কাঁদতেই না পারেন তা হলে তাঁর সঙ্গে ঘর করার কথা ভুলে যান। প্রথমেই পরস্পরকে বুঝে একসঙ্গে থাকা শুরু করুন। অথবা ইতি টানুন। এতে পরে অনেকটা পথ হাঁটার পরে দুঃখ পেতে হবে না।