সংক্ষিপ্ত
কখনও হেভি ব্লিডিং-এর (Heavy Bleeding) সমস্যা, কখনও সমস্যা ব্লিডিং কম হলে, এর সঙ্গে পেট ব্যথা, বমি ভাব তো আছেই। এই সকল সমস্যা নয়, প্রতি মাসেই সামনে নেন। কিন্তু, পিরিয়ড (Periods) মিস হলে বা সার্কেলে পরিবর্তন ঘটলে তা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
পিরিয়ডস (Periods) সংক্রান্ত নানা রকম ঝামেলা, চিন্তায় সকলেই জর্জরিত। এই একটা বিষয়ে প্রায় সব মেয়েরাই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। মাসের ওই কটা দিন সকলকেই বিস্তর হ্যাপা পোহাতে হয়। কখনও হেভি ব্লিডিং-এর (Heavy Bleeding) সমস্যা, কখনও সমস্যা ব্লিডিং কম হলে, এর সঙ্গে পেট ব্যথা, বমি ভাব তো আছেই। এই সকল সমস্যা নয়, প্রতি মাসেই সামনে নেন। কিন্তু, পিরিয়ড (Periods) মিস হলে বা সার্কেলে পরিবর্তন ঘটলে তা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণ হতে পারে বেশ কয়টি রোগ। জেনে নিন বিস্তারিত।
আরও পড়ুন: Mental Health- মন খারাপের পার্ফেক্ট দাওয়াই, হাতে তুলে নিন আইস্ক্রিম
অনিয়মিত পিরিয়ডস (Irregular Periods) বলতে আমরা অত্যাধিক বেশি বা কম দু ধরনের স্রাবকেই বোঝায়। কারও কোনও মাসে দুবার পিরিয়ডস হচ্ছে তো কারও তিন-চার মাস অন্তর পিরিয়ডসের দেখা নেই। পিরিয়ড মিস করা মানে অধিকাংশ মনে করেন এটা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। কিন্তু, একেবারেই তা নয়। পিরিয়ড মিস হতে পারে পিসিওডি-র (PCOD) জন্য। পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজে আজকাল বহু মেয়েরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে, যেমন পিরিয়ডস সার্কেলে (Periods Circle) সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই গর্ভধারণে সমস্যা হয়।
মেনোপোজ (Menopause) হওয়ার আগে পিরিয়ডসে সমস্যা হতে পারে। সাধারণত ৪০ বছরের আশে-পাশে মেয়েদের মেনোপোজের লক্ষণ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে অনিয়মিত পিরিয়ডস, ভ্যাজাইনা শুকিয়ে যাওয়া, মুড সুইয়ের (Mood Swing) মতো সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার তেমন কারণ নেই। মেনোপোজ প্রতিটি মেয়েরই হয়। ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এটি হয়ে থাকে। তবে, এই বয়সের আগে এমন অনিয়মিত পিরিয়ডসের (Irregular Periods) সমস্যা হলে ডাক্তার দেখান।
ক্রনিজ ডিজিজের (Chronic Disease) জন্য অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, ডায়াবেটিস (Diabetes), যক্ষ্মা, লিভারের (Liver) সমস্যা থাকলে তার খারাপ প্রভাব পড়ে পিরিয়ডসের ওপর। এই রোগগুলো হরমোনের পরিবর্তন ঘটায়। যার জন্য পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। তাই এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে ডাক্তারকে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানান। ওষুধে এই সমস্যার সমাধান হবে।
আজকাল অনেকেই থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যায় ভুগছেন। থাইরয়েড আপনার শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। তাই হরমোনের (Hormone) মাত্রাও প্রভাবিত হতে পারে। থাইরয়েড সমস্যা সমাধান হয় ওষুধে। তাই থাইরয়েড (Thyroid ) নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনার পিরিয়ডও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এছাড়া, আজকার অনেকেই বার্থ কনট্রোল পিল খান। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের (Birth Control medicines) জন্য পিরিয়ডসে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে এই ধরনের পিল খাওয়া উচিত।