সংক্ষিপ্ত

"আমাদের রাজনীতি যতটা হিংস্র, দিনে দিনে আনন্দ ততটাই বন্য হয়ে উঠছে। এই ঘটনাকে কার্ডিয়াক সাডেন ডেথ বা অনএক্সপেকটেড ডেথ এর তকমা দিয়ে হালকায় পার পেয়ে যাবো এইদিন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার দিন নয়।" হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কুনাল সরকার

গায়ক কেকে-এর বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ঘুরছে, যাতে তাঁকে মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন বেশ অস্বস্তিতে দেখা যায়। এই শারীরিক অস্থিরতার অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষ করার পর ৫৩ বছর বয়সী সঙ্গীত শিল্পী কেকে এর মৃত্যু হয়। তার ময়নাতদন্তও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

ইনডোর ভেন্যুতে কনসার্টে অংশ নেওয়া কিছু অনুরাগী বলেছেন যে, কেকে মঞ্চে প্রচুর ঘামছিলেন, এমনকি তিনি আয়োজকদের কাছে ভয়ানক পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি তিনি আয়োজকদের অনুরোধ করেছিলেন তার উপর স্পটলাইট কমানোর জন্য। এটি অনলাইনে প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বলে। চরম অস্থিরতার সঙ্গে মঞ্চ ছাড়তে দেখা গিয়েছে শিল্পীকে।



এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কুনাল সরকার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, 'এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে একে কার্ডিয়াক সাডেন ডেথ বা অনএক্সপেকটেড ডেথ-এর সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। দু হাজার দর্শকের আসন বিশিষ্ট হলে সাত হাজার লোকের ভীড়, এর ফলে এসি ঠিকমত কাজ করছিলনা, কোনও ভ্যান্টিলেশন নেই, শিল্পীর আসে পাশে যাঁরা ছিলেন তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিলেন যে, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। সেখানেই তো শিল্পীকে বিরতি দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে শো- শেষে নিকটবর্তী হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল।

তিনি আরও বলেন, 'এত বড় একটা মাস ইভেন্ট পরিচালনার জন্য যে পরিমান স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল তা ছিল না। মাস কন্ট্রোলের নামে দেওয়াল থেকে ফায়ার এক্সটিংগুইসার খুলে যে যার মুখে স্প্রে করেছে, এর ফল অত্যন্ত বিপদজ্জনক। আমাদের রাজনীতি যতটা হিংস্র, দিনে দিনে আনন্দ ততটাই বন্য হয়ে উঠছে। এই ঘটনাকে কার্ডিয়াক সাডেন ডেথ বা অনএক্সপেকটেড ডেথ এর তকমা দিয়ে হালকায় পার পেয়ে যাবো এইদিন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার দিন নয়।'