সংক্ষিপ্ত
- প্রয়োজনের কম জল খেলে বিপদ, বেশি খেলেও বিপদ
- তাই প্রয়োজনের তুলনায় জল বেশি খাবেন না
- বেশি জল খেলে কিডনির ওপর চাপ পড়বে বেশি
- ব্রেনস্ট্রোক থেকে শুরু করে কোমার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে
জল কম খাওয়া হচ্ছে বলে যাঁরা বেশি চিন্তা করেন, তাঁরা ভুল করেন না ঠিকই। কিন্তু সেইসঙ্গে আরেকটা কথাও মনে রাখা দরকার যে, প্রয়োজনের তুলনায় জল বেশি খাওয়াও ঠিক নয়।
দেখা গিয়েছে, জল কম খেলে যেমন বিপদ, তেমন বেশি খেলেও বিপদ। অত্য়ধিক জল খাওয়ার ফলে কিডনির ওপর চাপ বেড়ে যায়। কারণ তখন কিডনিকে এই বিপুল পরিমাণ জল পরিশোধন করতে হয়। জল বেশি খাওয়ার জন্য় মস্তিষ্কের নিউরোনগুলো স্ফীত হয়ে কোমা, ব্রেন স্ট্রোক এমনকি মৃ্ত্য়ুও ডেকে আনতে পারে। দেখা গিয়েছে, খুব বেশি জল খেলে খুব বেশি জল খেলে কিডনির ভেতরকার গ্লোমেরুলাসগুলো ফুলে গিয়ে কিডনি খারাপ করে দিতে পারে। এছাড়া, রক্তে সোডিয়াম মাত্রা কমতে পারে, মুখ ও পায়ে জল জমতে পারে। এর থেকে খিটখিটে হয়ে ওঠা বা মনঃসংযোগের অভাব হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ঘুমের ব্য়াঘাতও হতে পারে। মাথাব্য়থা হওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। এমনকি অজ্ঞান হওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে।
এখন কেউ প্রশ্ন করতেই পারে, কম জল খেলেও সমস্য়া। বেশি খেলেও সমস্য়া। তাহলে ঠিক কতটা জল খাওয়া দরকার আমাদের।
দেখুন পূর্ণবয়স্ক একজনের আট থেকে নয় গ্লাস জল খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, গরমকালে কিন্তু খুব ঘাম হয় আমাদের। তখন শরীর থেকে এক থেকে দেড় লিটার জল এমনিই বেরিয়ে যায়। তাই গরমে আড়াই থেকে তিনলিটার জল খাওয়া দরকার। যাঁরা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন, খেলাধুলো করেন, তাঁরা একটু বেশিই জল খাবেন। কিডনিতে পাথর থাকলে বেশি জল খাওয়া দরকার। শীতকালে জল কম খাওয়া হয়। সেদিকে নজর রাখবেন। তবে গরমে কতটা জল খাবেন এর উত্তরে আবারও বলি, একজন সুস্থ মানুষের শরীর নিজে থেকেই জানান দেয়, কখন জল খেতে হবে। তখন আমাদের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে অ্য়ান্টি ডায়াবেটিক হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই যতটা প্রয়োজন হয়, তেষ্টা পায়, ততটা জল খাবেন। তবে তা না-পেলে জল খাবেন না। যদিও শীতকালে বিষয়টা একটু ভিন্ন হয়। শীতে আমাদের তেষ্টা কম পায়। আবার ঘামও হয় না। তাই শীতে জল যাতে ঠিক পরিমাণে খাওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।