সংক্ষিপ্ত

মুসলিম সমাজের নিয়ম অনুযায়ী ছাগল বা উট  কোনও পশুকে গোটা বছর আদর যন্ত করে লালনপালন করার পর এই বিশেষ দিনে কুরবানি দেওয়া হয়। অনেক সময় অনেকে কিনেও ছাগল বা উটের কুরবানি দেয়।

মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান দুটি উৎসবের মধ্যে একটি হল ঈদ- আল আধা বা বকরি ঈদ। এই উৎবসকে অনেকে কুরবানির ইদও বলেন। ইসলামি ক্যালেন্ডার চন্দ্রের ওপর নির্ভর করে। আর সেই অনুযায়ী চলতি বছর ভারতে এই উৎসবে শুরু হয়েছে ৯ জুলাই সন্ধ্যে থেকেই। এই উৎসব শেষ হবে ১০ জুলাই সন্ধ্যের পর। 

কোরান ও প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী ইব্রাহিমকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে আল্লাহ তাঁর থেলে ইসমাইলকে কুরবানি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাসে ইব্রাইম মনের দুঃখ মনে চেপে রেখে প্রিয় সন্তানকে কুরবানি দিতে উদ্যোগী হয়েছিল। তিনি যখন নিজের সন্তানের গলায় কোপ বসাতে যাবেন সেই সময়ই অন্ধকার নেমে আসে। তারপরই কোপ দেন। কিন্তু চোখ খুলে দেখেন সন্তান জীবিত রয়েছে। ইব্রাহিমের ভক্তি আর প্রেম আর আনুগত্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন আল্লাহ। তারপরই আল্লাহ তাঁর কাছে একটি বার্তা পাঠান যে ইব্রাহিম ছেলের বদলে একটি ছাগল কুরবানি দিতে পারে। তাতেই তিনি তুষ্ঠ হবেন। সেই থেকেই এই বিশেষ দিনটি কুরবানির ইদ নামে পরিচিত। সেই থেকেই এই প্রথা চলে আসথে। প্রার্থনার পর একটি পশুকে কুরবানি দেওয়া হয়।

বর্তমান মুসলিম সমাজের নিয়ম অনুযায়ী ছাগল বা উট  কোনও পশুকে গোটা বছর আদর যন্ত করে লালনপালন করার পর এই বিশেষ দিনে কুরবানি দেওয়া হয়। অনেক সময় অনেকে কিনেও ছাগল বা উটের কুরবানি দেয়। আর সেই মাংস তিন ভাগে ভাগ করে রাখা হয়। একটি ভাগ গৃহস্থ নিজের জন্য রেখে দেয়। অন্য় একটি ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের একটি ভাগ দিতে হয়। তৃতীয় ভাগটি বরাদ্দ থাকে অভাবী গা দুঃস্থদের জন্য। 


পবিত্র কোরান অনুযায়ী বকরি ঈদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই উৎসবকে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের উৎসব হিসেবেই দেখা হয়। কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহর জন্য সবকিছু বলিদান দেওয়ার অঙ্গীকার করেন ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষ। এই বিশেষ দিনটি তাঁরা প্রার্থনা আর আনন্দ করে উদযাপন করেন। বন্ধু-পরিচিত-আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করেন। তবে দিনের শুরু ও দিনের শেষ হয় প্রার্থনা দিয়ে।