সংক্ষিপ্ত

  • ব্রেন টিউমার। এই রোগে নাম শুনলেই যেন কপালে ভাঁজ পড়ে
  • পরিবারে কারও এই রোগ হলে জীবন বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে
  • কিন্তু জানেন কি, রোজকার একটি অভ্যেসই এই রোগকে ক্রমশ ডেকে আনছে

ব্রেন টিউমার। এই রোগে নাম শুনলেই যেন কপালে ভাঁজ পড়ে। পরিবারে কারও এই রোগ হলে জীবন বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে। কিন্তু জানেন কি, রোজকার একটি অভ্যেসই এই রোগকে ক্রমশ ডেকে আনছে। সুইডেনের ওরব্রো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মোবাইলে কথা বলার অভ্যেসই ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 

মোবাইল ছাড়া এ যুগে আমরা এক লহমাও চলতে পারি না। সকাল হোক বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে মুঠোযন্ত্রে একবার ঘুরে না এলে দিনটাই সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু এই মোবাইলই ব্রেন টিউমরেরে সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। মোবাইলের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সুইডেনের এই গবেষকরা ১৮ টি কেস স্টাডি করেছিলেন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে। এদের মধ্য়ে ১১ জন তাঁদের বিগত ১০ বছরের রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। 

এই গবেষণার রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, যাঁরা প্রায় টানা ১২ বছর ধরে ফোন ব্যবহার করছেন তাঁদের ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। কান থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত যে স্নায়ু রয়েছে, তার উপর প্রভাব পড়তে থাকে। এর মধ্যে কিছু ম্যালিগন্যান্ট টিউমর থাকে, যা চিকিৎসা করে সারানো বেশ কঠিন। রিপোর্ট থেকে আরও একটি জিনিস দেখা গিয়েছে যে যাঁরা মোবাইল ব্যবহার করেছেন, তাঁদের টিউমরের আকৃতিও বড়। অন্যদিকে যাঁরা মোবাইল ব্যবহার করেননি, তাঁদের টিউমরের আকৃতি ছোট। কানের পাশ বরাবর এই টিউমর বৃদ্ধি পেতে থাকে। 

অতএব, মোবাইল কতটা ক্ষতিকারক এর থেকেই স্পষ্ট। অতিরিক্ত কথা বলার প্রয়োজন হলেও তাই লাউড স্পিকারে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।