সংক্ষিপ্ত
- ডেঙ্গু মশা বাহিত রোগ, একথা সকলেরই জানা
- কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে ডেঙ্গুর জীবাণু রক্ত দ্বারাও বাহিত হতে পারে
- ডেঙ্গু সংক্রামিত হলে ছ'মাস পর্যন্ত রক্তদান করবেন না
- এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
ডেঙ্গুর কবল থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরের ছয়মাস কিন্তু কোনওভাবেই রক্তদান না করার পরামর্শ দেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল-এর পক্ষ থেকে পেশ করা সাম্প্রতিক একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, ডেঙ্গুর জীবাণু যেহেতু রক্ত দ্বারাও বাহিত হতে পারে সেইজন্য সুস্থ হয়ে ওঠার ছয় মাস পরেও কোনও মানুষকে রক্তদান না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সতর্কবার্তার প্রধাণ কারণ হল, ইতিমধ্যেই বেশ আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গিয়েছে যে, ডেঙ্গুর জীবাণু রক্ত দ্বারা বাহিত হয়েই অন্য ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। আর এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেও আক্রান্ত ব্যক্তির আগামী ছয় মাস পর্যন্ত অন্য কোনও ব্যক্তিকে রক্ত দান করা উচিত নয়।
ডেঙ্গু যে মশা দ্বারা বাহিত রোগ, একথা সকলেরই জানা, কিন্তু ডেঙ্গুর জীবাণু যে রক্ত দ্বারাও বাহিত হতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতি। বিশেষজ্ঞ এসএস কৃষ্ণার কথায়, ডেঙ্গুর জীবাণু রক্ত দ্বারা বাহিত হওয়ার বিষয়টি যদিও খুবই বিরল আর ভারতে এখনও পর্যন্ত এর কোনও নজির নেই, কিন্তু তবুও নিজের সুরক্ষার স্বার্থে এইসব রোগে আক্রান্ত হলে, সুস্থ হওয়ার পরও বেশকিছু মাস রক্তদান না করাই ভাল।
কীটনাশক ব্যবহার করার আগে কেন দুবার ভাববেন
প্রসঙ্গত ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল, জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা, জল সরবরাহ পরিষেবারও অবস্থাও খুব খারাপ হওয়ার জন্য়ই কিন্তু ডেঙ্গুর মতো রোগ আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে বল মত বিশেষজ্ঞদের।