গ্রীষ্মে কাঁচা আম কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের আধারও। হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা, হজমে উন্নতি, লিভার ডিটক্স এবং ত্বক-চুলের উজ্জ্বলতা, সবকিছুই দেয় কাঁচা আম।
কাঁচা আমের উপকারিতা: গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মরশুম। এই সময়ে সবাই আম খেতে ভালোবাসেন। পাকা আম তো ভালোই লাগে, কিন্তু কাঁচা আমেরও তুলনা নেই। টক-মিষ্টি স্বাদের পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। কাঁচা আম किसी खजाने से कम नहीं है, যদি আপনি এটিকে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল বলেন, কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। আসুন জেনে নেই কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা।
হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে
গ্রীষ্মে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিট স্ট্রোক। কাঁচা আম শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে। কাঁচা আম দিয়ে আম পান্না তৈরি করা হয়। টক-মিষ্টি আম পান্না শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। এতে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।
হজমে সাহায্য করে
কাঁচা আম হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ফাইবার এবং পেকটিন থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এবং বদহজমের সমস্যা দূর করে। খাওয়ার আগে অল্প কাঁচা আম, লবণ এবং গোলমরিচ খেলে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং ক্ষুধাও বাড়ে।
লিভারকে ডিটক্সিফাই করে
কাঁচা আম লিভারের জন্য খুব উপকারী। এটি লিভারকে ডিটক্সিফাই করে এবং পিত্তের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং লিভার ভালোভাবে কাজ করে।
ত্বক এবং চুলের জন্য
কাঁচা আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং মজবুত করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, যার ফলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে এবং চুল পড়া কমে।
কাঁচা আম কেবল স্বাদেই নয়, গ্রীষ্মের অনেক সমস্যার সমাধানও। আপনি যদি এই গ্রীষ্মে সুস্থ এবং সতেজ থাকতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় কাঁচা আম রাখুন।


