চুলের খুশকি দূর করার জন্য ঘরোয়া টোটকা খুবই কার্যকরী। নিম পেস্ট, নারকেল তেল ও লেবুর রস, দই ও হলুদ এবং পেঁয়াজের রস ব্যবহার করে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, জ্বালাপোড়া কমায় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

খুশকির কারণে চুলের পুষ্টি মেলে না যার ফলে ধীরে ধীরে চুলের জেল্লা হারিয়ে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, মাথায় চুলকানি, জ্বালাপোড়াও হয়। কাপড়ে খুশকি পড়ে যাওয়ার ফলে লজ্জিত হতে হয়। বাজারে পাওয়া শ্যাম্পু এবং রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারে কিছু সময়ের জন্য আরাম পাওয়া গেলেও খুশকি চিরতরে দূর হয় না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকা হল এই জেদি খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি দুর্দান্ত এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত উপায়। এখানে আমরা আপনাদের এমন ৪ টি ঘরোয়া টোটকা সম্পর্কে বলছি, যা আপনার মাথার ত্বককে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং খুশকিমুক্ত করতে পারে।

নিম পেস্ট দিয়ে খুশকির বিদায়

এক মুঠো নিম পাতা সেদ্ধ করে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিমে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে যা খুশকি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

নারকেল তেল ও লেবু দিয়ে খুশকিকে বলুন বাই বাই

৪ চা চামচ নারকেল তেলে একটি লেবুর রস মেশান। তারপর এটি হালকা গরম করে মাথার ত্বকে আঙ্গুল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। তারপর এক ঘন্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে রাতভর এটি লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। লেবুর অ্যাসিডিক ধর্ম এবং তেলের আর্দ্রতা মাথার ত্বককে পরিষ্কার করে।

দই ও হলুদ দিয়ে খুশকির চিকিৎসা

৪ চা চামচ টাটকা দইয়ে ১/২ চা চামচ হলুদ মেশান। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বক এবং চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর এটি ধুয়ে ফেলুন।

দই ফাঙ্গাল সংক্রমণ দূর করে এবং মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে। চুলে লাগানোর জন্য টক দই ব্যবহার করুন।

পেঁয়াজের রস

একটি পেঁয়াজ বেটে তার রস বের করুন। তারপর তুলোর সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজে থাকা সালফার মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। সপ্তাহে দুবার পেঁয়াজের রস লাগালে চুল থেকে খুশকি দূর হয়। চুল চকচকে এবং মজবুত হয়।