শুধু স্যান্ডউইচ-বার্গারেই নয়, ত্বক ও চুলের যত্নে ও মেয়োনিজ ব্যবহার করলে মিলবে আশ্চর্য ফলাফল। রোদে পোড়া ট্যান, রুক্ষতা ও খুশকি হবে দূর।

স্যান্ডউইচ, বার্গার, ফ্রাইস, ৱ্যাপ - সবেতেই মেয়োনিজ আলাদারকম স্বাদ বাড়ায়। যেকোনো বোরিং খাওয়ারকে ক্রিমি ও সুস্বাদু করে তুলতে পারে। তবে আপনি কি জানেন, এই বিশেষ ধরণের সসের ব্যবহার শুধুমাত্র স্বাদ বাড়ানোতেই সীমাবদ্ধ নয়? রূপচর্চার ক্ষেত্রেও মেয়োনিজ একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

ত্বক কিংবা চুল—দুইয়েরই যত্নে মেয়োনিজ ব্যবহার করলে মিলবে আশ্চর্য ফলাফল। এতে থাকা প্রাকৃতিক তেল, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সহজে প্রাপ্ত এই উপাদানটিকে আপনি রূপচর্চার ঘরোয়া উপকরণ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন একাধিকভাবে।

রূপচর্চায় মেয়োনিজের ব্যবহার

১। রোদে পোড়া ট্যান দূর করতে

গরমে রাস্তায় বেরোলেই অতিরিক্ত রোদে ত্বক কালচে হয়ে যায়। এই ট্যান দূর করতে ঠান্ডা মেয়োনিজ ব্যবহার করুন মুখে। এতে ত্বক শীতল হয় ও ট্যান ধীরে ধীরে হালকা হয়।

ব্যবহারবিধি

ঠান্ডা মেয়োনিজ সরাসরি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

২। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে

শীতে ত্বক রুক্ষ ও ফেটে যায়? মুখে লাগাতে পারেন মেয়োনিজ। এতে থাকা ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র রাখে।

ব্যবহারবিধি

সপ্তাহে ২-৩ বার মুখে মেয়োনিজ মেখে ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

৩। খুশকির নিয়ন্ত্রণ

শীতকালে অনেকের স্ক্যাল্পে খুশকির সমস্যা হয়। পাতিলেবুর রস ও মেয়োনিজ মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহারে খুশকি অনেকটাই কমে যাবে।

৪। হেয়ার মাস্ক হিসেবে

নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ চুলে জেল্লা ফেরাতে নারকেল তেল ও মেয়োনিজ মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে নিয়মমতো চুলে কন্ডিশনার মেখে নিলেই হবে। এটি চুলে প্রোটিন যোগায়, চুল মসৃণ ও ঝলমলে করে তোলে।

কিছু সতর্কতা

* মুখে প্রথমবার মেয়োনিজ ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। ত্বকে কোনও অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবুই ব্যবহার করুন। * মেয়োনিজ যেন অতিরিক্ত গরম জায়গায় সংরক্ষণ না করা হয়। তাতে নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি।