শুধু ক্রিম-তেল আর ফেসপ্যাকে সমস্যা মিটবে না। তার জন্য দরকার বাড়তি কিছু। যা ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখবে, পুষ্টি জোগাবে। যাতে শীতের শুষ্ক আবহাওয়াতেও ত্বক থাকে নরম, দেখায় উজ্জ্বল এবং মসৃণ।
শীতকালে ক্রিম ছাড়াই ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখতে বাদাম, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, মধু এবং পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। কারণ এই খাবারগুলো ভিটামিন, ওমেগা-৩ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়, আর্দ্র রাখে এবং রুক্ষতা কমায়।
এখানে কয়েকটি উপকারী খাবারের বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হল:
১. বাদাম : কেন খাবেন: ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বাদাম (যেমন আমন্ড) ত্বকের মৃত কোষ মেরামত করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং কালো দাগ কমায়। কীভাবে খাবেন: প্রতিদিন সকালে কয়েকটি বাদাম ভিজিয়ে বা কাঁচা খান।
২. মিষ্টি আলু : কেন খাবেন: এটি ভিটামিন এ-এর চমৎকার উৎস, যা ত্বককে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে এবং শুষ্কতা দূর করে। কীভাবে খাবেন: সেদ্ধ করে বা তরকারিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩. অ্যাভোকাডো : কেন খাবেন: এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র ও কোমল রাখে, যা শীতের শুষ্কতার জন্য খুব উপকারী। কীভাবে খাবেন: সালাদ বা স্মুদি-তে যোগ করুন।
৪. মধু : কেন খাবেন: মধু প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে। কীভাবে খাবেন: সরাসরি খেতে পারেন, বা ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
৫. পর্যাপ্ত জল পান : কেন খাবেন: শীতকালে ডিহাইড্রেশন সাধারণ, তাই পর্যাপ্ত জল পান করলে ত্বক নরম, মসৃণ ও প্রাণবন্ত থাকে, বলিরেখা কমে। কীভাবে খাবেন: সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে জল পান করুন, প্রয়োজনে হালকা গরম জল খান।
৬.গাজর: গাজরও শীতের সব্জি। গাজরে আছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। কারণ এটি ত্বকের কোষে যে ক্ষতি হয় তা পূরণ করতে সাহায্য করে। সূর্যের রোদ থেকে ত্বককে বাঁচাতে পারে। দূষণ থেকে হওয়া সমস্যাও কমাতে পারে। এ ছাড়া গাজর ত্বককে আর্দ্র রাখতেও পারে, যা ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ দেখাতে সাহায্য করে।
৭. তেল আছে এমন মাছ: শীতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে চর্বি আছে এমন মাছ খেতে পারেন। কাতলা, আড় মাছ, ভেটকি জাতীয় মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। শীতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখার জন্য এই ধরনের মাছ কাজে লাগতে পারে।
অন্যান্য টিপস: শাকসবজি ও ফল: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (যেমন কমলা) ও সবুজ শাকসবজি যোগ করুন। গ্রিন টি ও হলুদ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলীর জন্য গ্রিন টি এবং হলুদও ত্বকের জন্য উপকারী। গরম জলের ব্যবহার: খুব বেশি গরম জল এড়িয়ে চলুন, হালকা গরম জল ব্যবহার করুন, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।


