শীতের দিনে রুক্ষ ত্বক থেকে বাঁচতে নিত্য নতুন প্রসাধনী দাম দিয়ে কিনছেন অনেকেই। অথচ ত্বকের যত্নে তেলের জুড়ি মেলা ভার। অল্প ‌খরচেই রুক্ষ ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে তেল। তবে জানতে হবে কোন সময় লাগালে কাজ হবে বেশি। 

শীতের হাওয়া গায়ে লাগতেই শুষ্ক হয়ে উঠেছে ত্বক। ক্রিম, লোশন, ময়েশ্চারাইজ কত কিছুই না লাগাচ্ছেন। কিছুক্ষণ বাদে আবার আগের অবস্থা। অনেকেই তাই জানতে চাচ্ছেন এই আবহাওয়ায় কোনটি গায়ে মাখলে বেশি উপকার মিলবে? তেল না কি ময়েশ্চারাইজার?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে ত্বকের রুক্ষতা এড়াতে চাইলে তেল ব্যবহার করাই শ্রেয়। ময়েশ্চারাইজার বা বডি লোশনের চেয়ে দ্বিগুণ কাজ করে বডি অয়েল বা তেল। কিন্তু কোন তেল ব্যবহার করবেন?

তেল শুধু মাখলেই হবে না, তেল মাখার পরে ভাল করে মালিশ করতে হবে। তা না হলে তেল মাখার পরে স্নান করলে শরীর থেকে তেল বেরিয়ে যাবে। তবে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক থাকলে স্নানের পরে তেল মাখা উচিত। এতে শুষে যাওয়া জল বেরোতে পারে না অর্থাৎ ট্রান্স এপিডার্মাল ওয়াটার লস কম হয়। ফলে ত্বক কোমল ও মোলায়েম থাকে।

* নারকেল তেল:

কেবল শীতকাল নয়, সারাবছরই ত্বকে মাখতে পারেন নারকেল তেল। এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও নারকেল তেলে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শীতকালে ত্বকের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। আগে বা পরে— যখন ইচ্ছা গায়ে নারকেল তেল মাখুন।

* সুইট আমন্ড অয়েল :

আমন্ড অয়েলে আছে ভিটামিন এ এবং ই-এর মতো উপাদান। এগুলো ত্বকের ওপর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমন্ড অয়েল মাখলে ত্বকের রুক্ষভাব দূর হয়। বার্ধক্যও ত্বকের ধারে কাছে ঘেঁষে না। এই তেল দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক।

* অ্যাভোকাডোর তেল :

এই তেলে আছে ভিটামিন এ এবং ই। শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে, ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে অ্যাভোকাডোর তেল। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এই তেল। ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে অ্যাভোকাডোর তেল।

* আর্গান অয়েল:

লিক্যুইড গোল্ড নামে আর্গান অয়েল শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের ওপর সুরক্ষা কবচের কাজ করে। ত্বককে যেকোনো ধরনের ক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচায়। এই তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ত্বক নরম ও কোমল করে তোলে।