সংক্ষিপ্ত
ঘর থেকে যখন বাচ্চারা পড়াশোনা বা চাকরির জন্য হোস্টেল বা পিজিতে যায়, তখন তাদের স্বাস্থ্য, ওজন এবং শরীরের উপর অনেক প্রভাব পড়ে। হোস্টেল যতই ব্যয়বহুল হোক না কেন, বাচ্চারা খাবারে সেই পুষ্টি পায় না, যা তারা ঘরের খাবার থেকে পেত। আজকের এই লেখায় আমরা আপনাদের কিছু সুপারফুড সম্পর্কে বলব, যা বাচ্চাদের হোস্টেলে থাকাকালীন অবশ্যই খাওয়া উচিত। এগুলি এমন খাবার যা তাদের বাজেটের মধ্যে থাকবে এবং তাদের পুষ্টির মান বাড়াবে।
হোস্টেলে থাকাকালীন বাচ্চাদের অবশ্যই এই খাবারগুলি খাওয়া উচিত
সিদ্ধ ডিম:
প্রতিটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি পেশীকে শক্তিশালী করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি যোগায়। তাই বাচ্চাদের সকালের নাস্তায় সিদ্ধ ডিম অবশ্যই খাওয়া উচিত।
ঘি:
রুটি, পরোটা বা খাকরার উপর ঘি লাগিয়ে খান। এটি শরীরকে শক্তি এবং পুষ্টি যোগায়। শরীরের শক্তির জন্য ঘি রুটি বা ভাতের সাথেও খেতে পারেন।
কলা:
সকালের জলখাবারে কলা রাখুন। এটি পেট ভরার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। আপনি ঘি দুধের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন, এটিও খুব স্বাস্থ্যকর।
পনির:
পনির একটি চমৎকার প্রোটিনের উৎস। এটি সরাসরি খান অথবা অন্য কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খান। আপনি চাইলে এটি ঘিতে ভেজেও খেতে পারেন।
সালাদ:
শসা এবং টমেটোর সালাদ প্রতিদিন খান। এটি হজমশক্তি উত্তম করে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। সালাদে আপনি পেঁয়াজ, মূলা, গাজর এবং বিটও রাখতে পারেন।
ওটস:
প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, ওটস একটি স্বাস্থ্যকর এবং পেট ভর্তি জলখাবার। আপনি এতে কিছু সবজি সেদ্ধ করেও মিশিয়ে নিতে পারেন।
বাদাম এবং দুধ:
দুধের সাথে বাদাম খান। এটি দ্রুত শক্তি যোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খান, এটি আপনাকে সুস্থ রাখবে।
চিনাবাদাম এবং ছোলা:
এগুলি সস্তা এবং পুষ্টিকর জলখাবার। এগুলি খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। ছোলা ভিজিয়ে এবং চিনাবাদাম ভেজে খেতে পারেন।