- Home
- Lifestyle
- Food
- বর্ষার মরসুমে খুব সহজেই মেলে, ১০-১২ টি জটিল রোগ রাখে নিয়ন্ত্রণে! এই মাছের নাম জানলে অবাক হবেন
বর্ষার মরসুমে খুব সহজেই মেলে, ১০-১২ টি জটিল রোগ রাখে নিয়ন্ত্রণে! এই মাছের নাম জানলে অবাক হবেন
- FB
- TW
- Linkdin
লোটে মাছ, লইট্টা বা বম্বে ডাক শুনতে হাঁস মনে হলেও আসলে ব্রিটিশদেরই দেয়া এই বিশেষ নাম। ব্রিটিশ আমলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে লটে শুটকি মালগাড়ি মেইল ট্রেনে বোম্বে আসত। ব্রিটিশেরা এই লটে শুটকির চালানকে বলত ‘মেইল’ বা ‘ডাক’। সেই থেকে ‘বোম্বে ডাক’।
এটি ভারত থেকে আসা রোদে শুকানো বামেলো মাছ। ১৯৮০-এর দশকে একটি জনপ্রিয় খাবার যা ভারতীয় রেস্তোরাঁয় মেনু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কারণ এটি যেভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্যবিধি আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।
তবে এখন এই মতের পরিবর্তন হয়েছে এবং ইমিউন সিস্টেম, হাড়, পেশী এবং হজমের জন্য একটি আশ্চর্যজনক ভাবে সাহায্য করে এই মাছ
লটে মাছ স্বস্তা মাছ। দামে স্বস্তা হলেও পুষ্টিতে ভরপুর এই লটে মাছ। লটে মাছ প্রোটিনে ভরপুর। যখন লটে মাছকে শুটকি করা হয়, তখন এই প্রোটিনের পরিমান আরও বৃদ্ধি পায়।
লটে মাছ স্বস্তা মাছ। দামে স্বস্তা হলেও পুষ্টিতে ভরপুর এই লটে মাছ। লটে মাছ প্রোটিনে ভরপুর। যখন লটে মাছকে শুটকি করা হয়, তখন এই প্রোটিনের পরিমান আরও বৃদ্ধি পায়।
আর প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও লটে মাছে থাকা প্রোটিন শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং অন্যান্য কেমিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখে।
লটে মাছে রয়েছে অতি উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলোকে পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্যে লটে মাছে থাকা ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিডের বিপুল সাহায্য করে যেমন, অতিরিক্ত রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিহত করা, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের লেভেল কমানো, রক্ত-সঞ্চালন বাড়ানো ইত্যাদি।
লটে মাছ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্যে খুবই উপকারি। এই মাছের তেল দারুণ এক পেইনকিলার ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
এছাড়াও লটে মাছ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। লটে শুটকিতে থাকা ক্যালসিয়াম উচ্চ-রক্তচাপ কমায়।
এছাড়াও এই ক্যালসিয়াম পিরিয়ড শুরুর আগে নারীদের যে মুডস্যুইং বা মানসিক সমস্যা হয় তা কমায়।
লটে শুটকিতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি দারুণ কার্যকরি।
লটে মাছ হিমোগ্লোবিন তৈরি, পেশির শক্তিবৃদ্ধি, ব্রেইনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অনিদ্রা কমানো, শক্ত হাঁড় ও দাঁত তৈরি, পরিপাকে সহায়তা, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও ঠোঁটের সুস্বাস্থ্য-সহ অসংখ্য স্বাস্থ্য-উপকার করে থাকে।