Healthy Food: গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের সকাল বেলায় জলখাবার হিসেবে পান্তা ভাত খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের এই অতি সাধারণ ও ঐতিহ্যবাহী খাবারটির মধ্যে রয়েছে এক প্রোবায়োটিক পাওয়ার হাউজ।

Healthy Food: পান্তা ভাতে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজম শক্তি উন্নত করতে এবং অন্ত্রের সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। এটি আয়রনের একটি চমৎকার উৎস যা রক্তশূন্যতা কমাতে পারে এবং ভিটামিন B6 ও B12 এর ভালো উৎস। যা রক্ত তৈরিতে সহায়ক। এছাড়াও, পান্তা ভাত শরীরকে শীতল রাখে, ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

** পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: পান্তা ভাতে প্রোবায়োটিক হিসেবে পরিচিত উপকারী ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

* হজমশক্তির উন্নতি: এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

* আয়রনের উৎস: পান্তা ভাতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, যা রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

* ভিটামিন সমৃদ্ধ: এটি ভিটামিন B6 এবং B12 এর ভালো উৎস, যা নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

* শরীরকে শীতল ও সতেজ রাখে: পান্তা ভাত শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং গরমের সময় ডিহাইড্রেশন ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

* ত্বকের স্বাস্থ্য: এটি কোলাজেন তৈরি করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা ত্বককে উজ্জ্বল ও তরুণ রাখে।

* এনার্জি বুস্টার: পান্তা ভাত শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।

অতিরিক্ত ফারমেন্টেড বা পচে যাওয়া পান্তা ভাত খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেটে ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা হতে পারে।তাই সঠিক পদ্ধতি নিয়ে পান্তাভাত তৈরি করে খান।

কিডনি বা লিভারের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে পান্তা ভাত খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এছাড়াও পান্তা ভাত যেহেতু natural ভাবে শীতল প্রকৃতির হয় তাই এই খাবার শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারে। এর জন্য অনেকে গরমকালে শরীরে তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ভাত বেশি করে খান। পাশাপাশি পান্তা ভাতের মধ্যে মেলে বি১২। আর এই ভাত ক্লান্তি দূর করতে পারে। পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্র কে সচল রাখতে সাহায্য করে।

তবে মনে রাখবেন, পান্তা ভাত স্বাস্থ্যকর হলেও এটি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সঠিকভাবে রাখা উচিত। কারণ পান্তা ভাত শুধু মাত্র যে একটি ঐতিহ্যবাহী বা অর্থনৈতিক সাশ্রয়ী খাবার তা কিন্তু নয়। এটি স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের এক দারুন মেলবন্ধন। ৎ এর প্রবায়োটিক গুনাগুন অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ক্লান্তি দূর করতে পারে পান্তা ভাত।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।