মুসুম্বির শাঁসের উপকারিতা আছে অনেক। মুসুমবি খেয়ে তার শাঁস ফেলে দেন কিন্তু জানেন কি এর উপকারিতা গুলি কী!
মুসুম্বি লেবুর শাঁস ফেলে না দিয়ে জানেন কি এর অনেক উপকারিতা আছে, যা আপনারা উপভোগ করতে পারেন। এর অনেক উপকারিতা গ্রহণ করতে পারেন যেমন এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুলের উপকার করে।
লেবুর শাঁসে ভিটামিন সি, সাইট্রাস বায়োফ্ল্যাভোনয়েড, পেকটিন এবং ডি-লিমোনিনের মতো যৌগ থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আসুন জানা যাক মুসুম্বি লেবুর শাঁসের উপকারিতা গুলি কী কী ?
** রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: লেবুর শাঁস ভিটামিন সি-এর একটি শক্তিশালী উৎস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
** হজমে সহায়তা: লেবুর শাঁসে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
** ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
** ওজন কমাতে সহায়ক: লেবুর শাঁসে থাকা উপাদানগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে।
** অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ: লেবুর শাঁসে থাকা বায়োফ্ল্যাভোনয়েড ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে এবং শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
আপনার ত্বক ও চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন এই শাঁস:
* খাওয়ার জন্য: লেবুর শাঁস ভালোভাবে ধুয়ে কুঁচি করে কেটে সালাদ, স্যুপ বা যেকোনো তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন।
* রূপচর্চায়: লেবুর শাঁস একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
* চুল ও ত্বকের যত্ন: শাঁসটি ভালো করে বেটে চুলের মাস্ক বা ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
* ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে: এর প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের অসম রঙ এবং পিগমেন্টেশন হালকা করে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে।
* তারুণ্য ধরে রাখতে: নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি পাওয়ায় ফাইন লাইনস এবং বলিরেখার মতো বয়সের ছাপ কমে আসে।
* দাগছোপহীন নিখুঁত ত্বক: ব্রণের জেদি দাগ, রোদে পোড়া দাগ বা যেকোনো ধরনের কালো ছোপ হালকা করতে মুসুম্বির শাঁস দারুণ কার্যকরী।
* প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও এক্সফোলিয়েটর: এটি ত্বকের ছিদ্র/ওপেন পোরস পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে।
* কীভাবে ব্যবহার করবেন জানা যাক এর পদ্ধতি?
সরাসরি শাঁস মুখে না লাগিয়ে একটি ফেস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়।
উপকরণ: মুসুম্বির শাঁস ২ চামচ (বীজ ছাড়ানো), মধু ১ চামচ, বেসন ১ চামচ (ইচ্ছে হলে)
পদ্ধতি: প্রথমে মুসুম্বির শাঁস ভাল করে পিষে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মধু এবং বেসন মিশিয়ে একটি ঘন প্যাক তৈরি করুন। এ বার পরিষ্কার মুখে এবং গলায় প্যাকটি সমানভাবে লাগিয়ে নিন। চোখ ও ঠোঁটের চারপাশ বাঁচিয়ে লাগাবেন। ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, যতক্ষণ না প্যাকটি হালকা শুকিয়ে আসে। এরপর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


