সংক্ষিপ্ত
এমনই একটি ফল যা আমরা প্রায় প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফল খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষের জুরি মেলা ভার। তার মধ্যে আবার সেই ফল যদি হয় কলা তাহলে তো সংখ্যা টা আরও কিছুটা কমে যায়। কলা এমনই একটি ফল যা আমরা প্রায় প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভারতে অনেক রকমের কলা পাওয়া যায়। ভারতে প্রায় ৩৩ জাতের কলা জন্মায়। এতে অনেক কলার জাত খুবই সুস্বাদু। ১২ টি জাত তাদের বিভিন্ন আকার এবং রঙের জন্য বিখ্যাত। ভারতে এলাচ কলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এটি বিহার, উড়িষ্যা ইত্যাদি রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া রাস্থালী কলাও, কলার একটি বিখ্যাত জাত। এটি ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের মতো রাজ্যে পাওয়া যায়। বিশ্বে ১০০০ টিরও বেশি জাতের কলা পাওয়া যায়। এই সমস্ত কলা প্রায় ৫০ টি দলে বিভক্ত।
কলায় কখনও পোকা হয় না কেন?
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন কলার মধ্যে কোন পোকা নেই। এর কারণ হল কলার ফলে সায়ানাইড নামক রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়। এ কারণে এ ফলটিতে পোকামাকড় দেখা যায় না। এছাড়াও ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান কলায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি শরীরকে ফিট এবং ফিট এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসে কলা খাওয়া কি উচিত-
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের সম্পূর্ণ পাকা কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এর বদলে কাঁচা কলা সবজি খেতে পারেন। কাঁচা কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী না হন তবে অবশ্যই এক থেকে দুটি কলা খান। খুব বেশি খাওয়া এড়াতে যত্ন নিন। কলাকে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো মনে করা হলেও অতিরিক্ত সেবনে বমি, শরীরে ফুলে যাওয়া, গ্যাস, স্থূলতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। ওজন কম হলে প্রতিদিন সকালের জল-খাবারে দুধের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে, মনে রাখবেন এটি খুব বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।