বাজার থেকে প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে জানুন কী কিনছেন। মোড়কে উল্লেখিত উপাদান তালিকা, মেয়াদের সময়সীমা'র সাথে দেখে নিতে হবে কোন রঙের ডট দেওয়া আছে। ওই খাবার আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কিনা জানুন আগে।
আমরা প্রতিদিনই বাজার থেকে নানা ধরনের প্যাকেটজাত খাবার কিনে থাকি—চিপস, বিস্কুট, চকোলেট কিংবা ইনস্ট্যান্ট নুডলস। এসব পণ্যের মোড়কে শুধু দাম বা এক্সপায়ারি ডেটই নয়, রঙিন ছোট ছোট চিহ্নও আঁকা থাকে। বেশিরভাগ মানুষ সবুজ ও লাল চিহ্ন দেখে খাবারটি নিরামিষ না আমিষ—তা বুঝতে পারেন ঠিকই। তবে শুধু এই দুটি নয়, আরও অনেক রঙের চিহ্ন রয়েছে যেগুলো খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিটি রংয়ের আলাদা আলাদা মানে, যা না জানলে আমরা অজান্তেই এমন খাওয়ার খাচ্ছি, যা শরীরের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
প্যাকেটজাত খাদ্যে রঙের চিহ্ন ও তাদের অর্থ
১। সবুজ চিহ্ন - নিরামিষ
যেসব খাবারে শুধুমাত্র উদ্ভিজ্জ উপাদান থাকে, মাংস, মাছ বা ডিম একেবারেই নেই, সেসব পণ্যে সবুজ রঙের বৃত্ত বা বর্গাকার চিহ্ন থাকে। এই ধরণের প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য নিরামিষাশী, হিন্দু, জৈন বা অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য উপযুক্ত।
২। লাল চিহ্ন - আমিষ
লাল রঙ নির্দেশ করে খাবার তৈরির সময় খাবারে প্রাণিজ উৎস ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন—মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। নিরামিষাশীদরা এড়িয়ে চলুন এই রং দেখলে।
৩। নীল চিহ্ন - চিকিৎসা সম্পর্কিত পণ্য
এই চিহ্ন নির্দেশ করে যে পণ্যটি খাদ্যদ্রব্য হলেও তা ওষুধ বা চিকিৎসা সম্পর্কিত উদ্দেশ্যে করা হয়, যেমন পুষ্টি-সম্পূরক বা চিকিৎসা সহায়ক ডায়েটারি ফুড। তবে এগুলি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ না করাই ভালো।
৪। হলুদ চিহ্ন - ডিম আছে
হলুদ রং নির্দেশ করে যে খাদ্য দ্রব্যটিতে ডিম ব্যবহার করা হয়েছে। অনেকেই ধর্মীয় বিশ্বাস বা নিরামিষাশী হওয়ার কারণে ডিম এড়িয়ে চলেন—তাদের সতর্ক করে এই চিহ্ন। এছাড়াও ডিমে অ্যালার্জি থাকলেও এই চিহ্ন দেখে এড়িয়ে চলুন।
৫। কালো চিহ্ন - রাসায়নিক সংমিশ্রণ
খাবারের প্যাকেটে কালো রঙের ডট দেওয়া থাকলে বুঝতে হবে পণ্যে সংরক্ষণকারী, রঙ বা স্বাদবর্ধক হিসেবে রাসায়নিকের পরিমাণ অনেক বেশি। এর নিয়মিত সেবন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।


