শুধু কতক্ষণ ঘুমালেন দেখলেই হবে না, কীভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটিও খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ, ঘুম শুধু ক্লান্তি দূর করে না, শরীর ও মনের সার্বিক পুনর্গঠনের কাজও করে।

ঘুম শুধু ক্লান্তি দূর করে না, শরীর ও মনের সার্বিক পুনর্গঠনের কাজও করে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ঘুমের ভঙ্গিমা (sleeping posture) আমাদের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। কোমরব্যথা, ঘাড়ে টান, হজম সমস্যা, এমনকি ত্বকের বলিরেখার সমস্যা পর্যন্ত ঘুমের ভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। তাই শুধু কতক্ষণ ঘুমালেন দেখলেই হবে না, কীভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটিও খেয়াল রাখা জরুরি। চলুন দেখে নিই কোন ভঙ্গিতে ঘুমালে বেশি উপকার।

কোন পাশে কাত হয়ে শোবেন?

১। চিত হয়ে শোয়া

চিত হয়ে শুলে মেরুদণ্ড সোজা থাকে, কোমরব্যথা থেকে আরাম মেলে। আবার যারা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন বা ঘন ঘন শ্বাসের সমস্যা (sleep apnea) আছে, তাদের জন্য বিপজ্জনক, কারণ শ্বাসপ্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয়।

২। কাত হয়ে শোয়া

কথা হয়ে শুলে মেরুদণ্ড ও ঘাড়ের উপর চাপ কম পড়ে। ঘুমের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে। বাঁ কাত হয়ে শুলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে, আর ডান দিকে কথা হয়ে শোয়া গর্ভবতীদের জন্য নিরাপদ।

তবে দীর্ঘদিন এক পাশ ফিরে শুলে মুখের সেদিকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। আবার ঘাড়ে ব্যথা থাকলে সেই দিক ফিরে শোয়া এড়িয়ে চলাই উচিত।

৩। উপুড় হয়ে শোয়া

উপুড় হয়ে শুলে সাময়িক আরাম লাগে ঠিকই তবে বেশিক্ষন এইভাবে শুলে মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে যেতে পারে, ঘাড়ে ও কোমরে চাপ পড়ে, শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে।

৪। মাথা উঁচু করে শোয়া

যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাদের জন্য উপকারী এইভাবে শোয়া। তবে অপ্রয়োজনে ব্যবহার না করাই ভালো, ঘাড়ে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।

ঘুমের সময়ে যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন?

* জাজিম ও তোশক একসাথে ব্যবহার নয় * বালিশ যেন ঘাড়ের স্বাভাবিক বক্রতা বজায় রাখে * খাঁটি তুলোর নরম ও ফ্ল্যাট বালিশ বেছে নেওয়া ভালো * পুরনো, বসে যাওয়া তোশক বদলে ফেলুন