Lucknow Special Food: লখনউ শুধু ইতিহাস আর স্থাপত্যের শহর নয়, স্বাদেরও বাহার। ইউনেস্কোর 'City of Gastronomy'-র তালিকায় মনোনয়ন পাওয়া শহরটি তার হাজার বছরের খাবারের ঐতিহ্যকে আজও সমানভাবে ভালোবেসে এসেছে।

লখনউ: নবাবি খানা পিনা থেকে শুরু করে স্থাপত্য, ভাস্কর্য, ঐতিহ্য, এমনকি পছন্দের চিকনকারী পোশাকও এই শহরের। লখনৌয়ের কথা উঠলেই যেন কাবাব-নিহারির ঘ্রাণ পাওয়া যায়, ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। সম্প্রতি ইউনেস্কোর ‘সিটি অফ গ্যাস্ট্রোনমি’র তালিকায় মনোনীত হয়েছে নবাবের শহর লখনউ। স্বীকৃতি পেলে এই ঐতিহ্য কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই প্রশংসিত। খাবারের প্রতি এই শহরের প্রেম কেবল স্বাদেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আবেগে মিশে আছে।

লখনউয়ে যেসব খাবার অবশ্যই চেখে দেখবেন:- 

১। টুন্ডে কাবাব

লখনউ বেড়াতে গেলেঅবশ্যই টুন্ডে কাবাব ট্রাই করতে হবে। এই কাবাব না খেলে কিন্তু জানবেন আপনার লখনউ বেড়ানো সম্পূর্ণ হল না। মাংসের কিমা, বিভিন্ন মশলা ও পেঁপে দিয়ে তৈরি এই টুন্ডে কাবাব মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে।

২। গলৌটি কাবাব

নবাবদের জন্য তৈরি হওয়া এই কাবাব এতটাই নরম যে দাঁতের প্রয়োজন হয় না, মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। গলৌটি কাবাব এককথায় এক ঐতিহ্যের স্বাদ। ফুড ওয়াকের তালিকায় এটি রাখতেই হবে।

৩। লখনউয়ি বিরিয়ানি

ওয়াজেদ আলি শাহের হাত ধরেই লখনউয়ি বিরিয়ানির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল কলকাতা। হালকা মশলা, সুগন্ধি চাল ও মাংস দিয়ে তৈরি এই বিরিয়ানি, সিগনেচার ডিশ নবাবের শহরে গেলে কিন্তু চেখে দেখতেই হবে।

৪। নিহারি

রাজদরবারে ফজরের নামাজের পর পরিবেশন করা হত নিহারি। ধীরে ধীরে রান্না করা এই মাংসের পদ শুধু লখনৌ নয় দেশে-বিদেশে বিরিয়ানির মতোই ঐতিহ্য ও জনপ্রিয়তা বহন করে চলেছে এই পদ।

৫। ফিরনি

বিরিয়ানি বা কাবাবের শেষে মুখ মিষ্টি না হলে চলে? লখনৌয়ের ঐতিহ্যে মুখ মিষ্টি করার জন্য পাবেন ফিরনি। ঠান্ডা, ঘন, দুধে তৈরি সুস্বাদু ফিরনি আপনার ফুড ওয়াকে সমস্ত কিছু খাওয়ার পর শেষ পাতে রাখতেই হবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে