Health Tips: যেকোনও সময় খিদে পাচ্ছে? কিন্তু বুঝতে পারছেন না কী খাবেন। সুস্বাদু অথচ স্বাস্থ্যকর হবে এমন কিছু খাবারের রইল টিপস…
Health Tips: রাতে বা দুপুরে খাওয়ার পরই ফ্রিজ খুলে চলে মিষ্টি বা স্ন্যাক্স খাবার খোঁজাখুঁজি অভিযান। অনেকসময় ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতেও মুখ চলতেই থাকে। অন্যমনস্ক হয়ে এই খাওয়ার বদভ্যাস অনেক সময় শরীরের চেয়ে মনের খিদে, বা বলা ভালো চোখের খিদে, আমাদের ভুল খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। এই সময়েই আমরা বেছে নিই ভাজাভুজি, চিপস, চকোলেট, কিংবা ফাস্টফুড, যা স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে পেটের সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া, ইন্সুলিন রেসিস্টেন্স এধরণের সমস্যার তো লেগেই থাকে আজকাল।
রইল এমন কিছু খাবারের সন্ধান, যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে চোখের খিদের বদভ্যাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
১। ডিম
ডিমে থাকে উচ্চমানের প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ। এগুলি শরীরকে দীর্ঘসময় ধরে এনার্জি দেয় এবং পেটও অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে। সিদ্ধ ডিম বা কিছু সবজি দিয়ে ভারি করে অমলেট বানিয়ে নিয়েও খাওয়া যেতে পারে। আবার হাফ বয়েল বা পোচ হিসেবে ও খেতে পারেন। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবারের ভালো বিকল্প হতে পারে এই সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর ডিম।
২। আপেল
মুখরোচক কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হলে সেই সময় স্বাস্থ্যের উপযোগী এমন কিছু খাওয়া দরকার, যার ফলে আপনি অস্বাস্থ্যকর মিষ্টি জাতীয় খাবার বা ভাজাভুজির মতো খাবারগুলি খাওয়ার ইচ্ছা এড়িয়ে যেতে পারবেন। আর এজন্য আপেল বেছে নেওয়া ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকে। অপেল, ন্যাসপাতি, তরমুজের মতো ফলের চাট কিংবা ফল ও দই দিয়ে রায়তা বানিয়ে খেতে পারেন স্ন্যাক্স হিসেবে। মিষ্টি বা মুখরোচক খাবার ক্রেভিংস কমবে, অনেকটা সময় পেটও ভর্তি থাকবে এতে।
৩। ওটস
ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে যখন তখন হালকা খিদে বা বার বার চোখের খিদেয় ভুলভাল খাবার খাওয়ার মতো বিষয় এড়িয়ে চলতে পারবেন। ওটস চিলা বা প্যান কেক মধু দিয়ে, দুধ-ফল দিয়ে ওটস পোরিজ, সবজি ও মশলা দিয়ে ওটস খিচুড়ি, ফল ও দই মিশিয়ে ওটস স্মুদি ইত্যাদি কিভাবে ইচ্ছা বানিয়ে খেতে পারেন। পেট ভর্তি থাকবে অনেক্ষণ। চোখের খিদে অনেকটাই মনের ব্যাপার। একঘেয়েমি, স্ট্রেস, উদ্বেগ-উত্তেজনা বা শুধু অভ্যাস থেকেই তৈরি হয় এই ধরণের খিদের। এ সময় স্বাস্থ্যকর কিছু বিকল্প হলে সহজেই ফাস্টফুড বা মিষ্টি-ভাজাভুজির ক্রেভিংস এড়ানো সম্ভব।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


