Fish Cake: বাঙালিদের আড্ডায় বেশিরভাগ সময়ই নোনতা আমিষ কোনও পদ থাকে। বিশেষ করে রবিবার সন্ধেবেলা যদি কারও বাড়িতে আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুদের আড্ডা বসে, তাহলে তো আমিষ পদ থাকবেই। এক্ষেত্রে সেরা পদ হতে পারে ফিশ কেক।
Fish Cake Recipe: বাঙালি সর্বদা ভোজন রসিক। বাঙালির চায়ের সঙ্গে সকাল সন্ধেটা অবশ্যই লাগে। কিন্তু সেটা নোনতা হোক বা মিষ্টি বিস্কুট, যে কোনও একটা হলেই জমে যাবে। যদিও ভাজাভুজি শুধু বাঙালি কেন, বেশিরভাগ মানুষেরই বড়ই পছন্দের জিনিস। চপ-কাটলেট পছন্দ করেন না এমন বাঙালির সন্ধান পাওয়া মুশকিল। সন্ধের পর এক কাপ চা আর সঙ্গে গরম গরম ফিশ ফ্রাই পেলে আর কী চাই! বিয়েবাড়ি হোক কিংবা ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠান, ফিশ ফ্রাই না হলে খাবারটা ঠিক জমে না। তবে ডুবো তেলের ভাজাভুজি রোজ রোজ খাওয়া মোটেও ভাল নয়। মাছ দিয়েই একটু স্বাস্থ্যকর অথচ মুখরোচক স্ন্যাক্স বানানোর কথা ভাবছেন? তাহলে অবশ্যই বানিয়ে ফেলুন ফিশ কেক, রইল সহজ রেসিপি।
উপকরণে লাগছে-
- ভেটকির টুকরো: ৪০০ গ্রাম (কাঁটা ছাড়া)
- কুচো চিংড়ি: ২০০ গ্রাম
- গাজর: ১টি
- পেঁয়াজ: ১টি
- লাল বেলপেপার: ১টি
- কর্নফ্লাওয়ার: ১ কাপ
- পেঁয়াজ পাতা কুচি: আধ কাপ
- ডিমের সাদা অংশ: ১টি
- ময়দা: ১ টেবিল চামচ
- নুন ও চিনি স্বাদমতো
- গোলমরিচ:১ চা চামচ
ফিশ কেক এর প্রণালী-
প্রথমে সব সবজিগুলি খুব মিহি করে কুচিয়ে নিন। এবার মিক্সিতে মাছ আর চিংড়িগুলি ভাল করে বেটে নিন। এরপর একটি বড় পাত্রে মাছের কিমা আর সবজির টুকরোগুলি ঢেলে দিন। তারপর সেই পাত্রে একে একে ময়দা, ডিমের সাদা অংশ, পেঁয়াজপাতা কুচি, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন, চিনি মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিন। তারপর হাতে সামান্য তেল মেখে নিয়ে অল্প মিশ্রণ নিয়ে প্রথমে গোল বলের আকারে গড়ে নিন। এ বার হাত দিয়ে বলগুলিকে চ্যাপ্টা করে প্যাটির আকারে গড়ে নিন। এরপর কর্নফ্লাওয়ার মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন এক ঘন্টা জন্য। এবার নন স্টিক তাওয়ায় সামান্য তেল গরম করে প্যাটিগুলি হালকা করে ভেজে নিন। তারপর মেয়োনিজ় আর টম্যাটো সসের সঙ্গে গরম গরম খান। আর আপনার বিকেলের চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
