অতীতে বেশিরভাগ মহিলাই ছিলেন গৃহবধূ। তাই তাঁদের বেশিরভাগ সময় কেটে যেত রান্নাঘরেই। পরিবারের লোকজনের জন্য বিশেষ পদ রান্নায় কোনও ত্রুটি রাখতেন না তাঁরা। বর্তমানে মহিলারা সামাল দেন অফিস ও বাড়ি দু’দিক।
বাঙালির রান্নাঘর থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া কিছু নস্টালজিক শীতের পদের রেসিপি যা ব্যস্ততার কারণে এখন খুব কমই রান্না হয়। যেমন বিভিন্ন ধরনের পিঠেপুলি, গুড়ের মিষ্টি, এবং শীতকালীন সবজির নানান পদ, কাঁচা লঙ্কা ধনেপাতা দিয়ে চিকেন রান্না, যা একসময় বাঙালির হেঁসেলে নিয়মিত থাকত।সেই পুরনো দিনের স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু রেসিপির আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া শীতের কিছু পদ ও তাদের রেসিপির ধারণা:
পিঠে-পুলি: নলেন গুড় ও নারকেল দিয়ে তৈরি পাটিসাপটা, ভাপা পিঠে, পুলি পিঠে, মালপোয়া ইত্যাদি সেই সময়ের শীতের প্রধান আকর্ষণ ছিল, যা এখন খুব কমই তৈরি হয়।
শীতকালীন সবজি: নতুন আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, মটরশুঁটি, মুলা দিয়ে তৈরি নানা ধরনের তরকারি, যেমন - ফুলকপির রোস্ট, বাঁধাকপির ঘণ্ট, মুলা দিয়ে মাছের ঝোল, বা শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি—এগুলোহয় ছিল শীতের প্রিয় পদ।
গুড়ের মিষ্টি: নলেন গুড় বা আখের গুড় দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের সন্দেশ, তক্তি, বরফি, বা গুড়ের পায়েস শীতের দিনে অপরিহার্য ছিল।
আরিষা পিঠে এবং কাঁকারা পিঠে : আরিষা পিঠে এবং কাঁকড়াপিঠে ও আগে গ্রামবাংলায় খুবই তৈরি করা হত। বর্তমানে এই ধরনের পিঠে ঘরের তৈরির চল নেই বললেই চলে। আদৌ কতজন এই ধরনের পিঠের নাম জানেন, তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ।
পেঁপের দোলমা পিঠে: পেঁপের ভিতর পুর দিয়ে দোলমা তৈরি হত একসময় ঘরে ঘরে। সহজপাচ্য এই খাবার বেশিরভাগ মানুষ পছন্দও করতেন। বর্তমানে পেঁপের দোলমার চল নেই বললেই চলে। তার বদলে পটলের দোলমা রান্নাঘরে বেশিরভাগ জায়গা দখল করে নিয়েছে।
অন্যান্য পদ:
শীতের সবজি স্যুপ: তাজা সবজি দিয়ে তৈরি স্বাস্থ্যকর স্যুপ।
চিঁড়ের পোলাও: শীতের সকালে জলখাবারে চিঁড়ে ও শীতের সবজি দিয়ে তৈরি পদ।
গরম মশলার ব্যবহার: বিভিন্ন মাংসে ও সবজিতে গরম মশলার ব্যবহার বাঙালির রান্নায় বিশেষ স্বাদ যোগ করত।
