সংক্ষিপ্ত

এই খাবারগুলির ফলে গরমে শরীরের উপস্থিত জল শুকিয়ে যেতে থাকে এবং ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। আসুন জেনে নিই গ্রীষ্মকালে কোন খাবারগুলি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত এবং কেন?

 

গরমকালে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। যদিও কেউ কেউ প্রচণ্ড গরম থাকা সত্ত্বেও এমন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা শরীরে বেশি তাপ তৈরি করে। আসলে গ্রীষ্মকালে এমন খাবার খাওয়াই ভালো বলে মনে করা হয়, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জেনে বা না জেনে এমন কিছু খাবার খেয়ে থাকেন, যার কারণে শরীরে উপস্থিত জল শুকিয়ে যেতে থাকে এবং ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। আসুন জেনে নিই গ্রীষ্মকালে কোন খাবারগুলি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত এবং কেন?

আইসক্রিম:

গরমে আইসক্রিম খেতে কার না ভালো লাগে। বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন যে আইসক্রিম খেলে তাদের শরীর শীতল হবে এবং গরম থেকে কিছুটা আরাম পাবে। কিন্তু উল্টোটা ঘটে। আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিন থাকে। এই তিনটি উপাদান যখন আইসক্রিমের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে যায়, তখন তারা প্রচুর তাপ নির্গত করে। এ কারণেই এগুলো খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে।

ভাজা খাবার আইটেম:

গ্রীষ্মের মরসুমে সবারই বেশি ভাজা খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি শরীরে তাপ তৈরি করে। হজম প্রক্রিয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। খাবার হজমে সমস্যা হয়। যার কারণে ফোলাভাব ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চা বা কফি:

গরমে চা এবং কফির অতিরিক্ত ব্যবহারও এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলোর কারণে আপনার পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। শুধু তাই নয়, এতে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং ফোলা সমস্যাও হতে পারে।

মাংস: 

গরমে বেশি মাংস খেলে আপনার পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। এটি হজম করা কঠিন হতে পারে। কারণ মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চর্বি, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন। এই কারণে এটি খেলে শরীরে তাপ তৈরি হতে পারে।

মশলাদার খাবার: 

গ্রীষ্মে মশলাদার খাবারের ব্যবহারও কম করা উচিত। যেহেতু মরিচের মধ্যে ক্যাপসাইসিন থাকে, তাই এটি পিত্ত দোষ বাড়াতে পারে এবং শরীরকে উত্তপ্ত করতে পারে।