সংক্ষিপ্ত

এই চালের উপরিভাগে ধানের তুষের কিছু অংশ থেকে যায়। আর পালিশ করা হয় না বলে সাধারণ চালের তুলনায় এর পুষ্টিগুণ কয়েকগুণ বেশি। জেনে নিন এই চালের উপকারীতা ও কেন এই চাল ডায়েটে রাখতে বলেন পুষ্টিবিদরা

 

প্রাচীনকালে গ্রাম বাংলার মানুষ ঢেঁকি ছাঁটা চাল খাওয়ায় অভ্যস্ত ছিলেন। এর এই রং হওয়ার কারণ হল এই চাল পালিশ করা হয় না। পুষ্টিবিদদের মতে, ব্রাউন রাইসে রয়েছে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা-সহ নানান পুষ্টিগুণ। বর্তমানে উন্নত সমাজ সেই চালেরই নামকরণ করেছে ব্রাউন রাইস। এই চালের উপরিভাগে ধানের তুষের কিছু অংশ থেকে যায়। আর পালিশ করা হয় না বলে সাধারণ চালের তুলনায় এর পুষ্টিগুণ কয়েকগুণ বেশি। জেনে নিন এই চালের উপকারীতা ও কেন এই চাল ডায়েটে রাখতে বলেন পুষ্টিবিদরা

ব্রাউন রাইসে থাকা ফাইবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আবার রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। অনেকের ধারণা ভাত খেলে মেদ বৃদ্ধি হয়, ঘুম পায়। তবে ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চালের বিষয়ে এই ধারণাগুলিকে ভ্রান্ত বলেই মনে করেছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া এই চালে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মত পুষ্টিগুণ। সাধারণ চাল ও এই চালের মধ্যে স্বাদের পার্থক্য রয়েছে। তাই অনেকেই এই চাল পছন্দ করেন না। তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই চাল রাখলে আপনিও হতে পারবেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

ব্রাউন রাইসে রয়েছে যথেষ্ট পরিমানে নিউরোট্রান্সমিটার নিউট্রিয়েন্ট যা অ্যালজাইমার্স রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই চাল অনেকটা সময় পর্যন্ত শরীরে এনার্জি সরবারহ করে। তবুও সাধারণ চালের তুলানয় ব্রাউন রাইস খাওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যে অত্যন্ত কম। স্নায়ুবিক রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ব্রাউন রাইস। এছারা এই চালে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি এবং ই। সাধারণ চালের চেয়ে ব্রাউন রাইসে ফাইবারের মাত্রা বেশি। ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে আর ঘন ঘন ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায় ফলে দ্রুত ওজনও কমে।