দুপুরে ভাতের সাথে নিরামিষ পদ হোক বা বিকেলে চায়ের সঙ্গী, কাঁঠালের বীজের কাটলেট একেবারে জমে যাবে। তাই এবার বাড়িতে কাঁঠাল আনলে বীজগুলি ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে জমিয়ে রাখুন। বানিয়ে নিন এই সুস্বাদু জলখাবার।
কাঁঠাল তো অনেকেই খান, কিন্তু এর বীজও যে খাওয়া যায় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। আসলে এই কাঁঠালের বীজ বেশ পুষ্টিকর। এই বীজে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, খনিজ লবণ এবং ভিটামিন। এ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আজও অনেকের বাড়িতেই মা-ঠাকুমারা আছেন, যারা কাঁঠালের বীজ জমা করেন। কেউ বীজ দিয়ে তরকারি বানান, কেউ আবার ভর্তা বানিয়ে খান। তবে আজকে একটু অন্যরকম একটা পদের কিথা বলবো যা নিরামিষের দিন বেশ জমবে - কাঁঠালের বীজের কাটলেট।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন এই কাঁঠালের বীজের কাটলেট
প্রয়োজনীয় উপকরণ
* কাঁঠালের বীজ ৩০০ গ্রাম (সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো) * পেঁয়াজ কুচি আধ কাপ * আলুসেদ্ধ আধ কাপ * আমাদা মিহি করে কুচোনো আধ চা চামচ * চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ * ময়দা ১ টেবিল চামচ * আদাবাটা ১ চা চামচ * হলুদগুঁড়ো আধ চা চামচ * জিরে, মৌরি ও শুকনো লঙ্কা একসঙ্গে শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়িয়ে নেওয়া ভাজা মশলা ১ চা চামচ * আমচুর এক চিমটে * নুন স্বাদমতো * তেল ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে কাঁঠালের বীজ নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন প্রেশার কুকারে। এবার খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে চটকে মেখে রাখুন। এবার পেঁয়াজ, আলুসেদ্ধ, চালের গুঁড়ো, ময়দা ও আমাদা মিশিয়ে তারপর আবার আদাবাটা, হলুদ গুঁড়ো, ভাজা মশলা ও আমচুর মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিন আবার।
এবার ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে পছন্দমতো চপ বা কাটলেট আকারে গড়ে নিন।তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে গরম হলে উল্টে উল্টে দুই দিক ভালো করে ভেজে নিন কাটলেটগুলো। ব্যাস, তৈরী আপনার নিরামিষ কাটলেট। কাসুন্দি বা ধনেপাতার চাটনি দিয়ে সন্ধ্যেবেলার চায়ের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।
