সংক্ষিপ্ত

প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হৃদয়কে সুস্থ রাখে, হজমশক্তি উত্তম করে, ওজন কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

'রোজ একটি আপেল, ডাক্তারকে রাখে দূরে' এই প্রবাদ কেবল বলার জন্য নয়। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে সবসময় মনে রাখবেন যে আপেলের সর্বাধিক পুষ্টি তার খোসায় থাকে, তাই খোসাসহ খান। আজ আমরা এই লেখায় জানবো যে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ঠিক কী কী উপকার হয়।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি সর্দি, কাশি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

২. হৃদয়কে সুস্থ রাখে

আপেলে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৩. হজমশক্তি উন্নত করে

আপেলে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। পেক্টিন ফাইবার পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যার ফলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।

৪. ওজন কমানোর জন্য উপকারী

আপেল কম ক্যালোরিযুক্ত ফল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যার ফলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। নাস্তা হিসেবে আপেল খেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

আপেলের লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায় এর মধ্যে থাকা চিনি শরীরে ধীরে ধীরে মুক্তি পায়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারী

আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কোয়ারসেটিন মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং আলঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

৭. ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী

আপেলে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে। এটি বার্ধক্যের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।

৮. হাড় মজবুত করে

আপেলে থাকা বোরন এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি বিশেষ করে মহিলাদের জন্য উপকারী।

৯. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

আপেলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল কমায়, যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

১০. দাঁতের পরিষ্কারতা

আপেল চিবিয়ে খেলে দাঁত এবং মাড়ির ভালো পরিষ্কার হয়। এটি দাঁতে প্লাক জমতে দেয় না এবং মুখের দুর্গন্ধ কমায়।