কিছু নির্দিষ্ট খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার ভয় থাকে না। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো কি কি।
রক্তে শর্করার মাত্রা চুপিসারে বেড়ে যায়। বুঝতে পারার আগেই অনেক দেরি হয়ে যায়। এই মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি বেড়ে গেলে, ক্লান্তি, এমনকি টাইপ 2 ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আশার কথা হল, কিছু নির্দিষ্ট খাবার বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বেছে নেওয়া হলে, শুধু এই মাত্রা নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়। আপনি যা পড়লেন তা সত্যি, এই খাবারগুলো খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার ভয় থাকে না। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো কি কি।

মেথি
খাবার পর শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া রোধ করতে মেথি বীজ খুবই উপকারী। এতে থাকা দ্রবণীয় আঁশ কার্বোহাইড্রেটের হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। ফলে শর্করা একবারে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না। মেথি বীজ রাতভর ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায় বলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে।

কালো জাম
কালো জামের বীজে থাকা জ্যাম্বোলিন, জ্যাম্বোসিন নামক যৌগ স্টার্চকে শর্করায় পরিণত হওয়া থেকে বিরত রাখে। এই ফলের শাঁস বা বীজের গুঁড়ো নিয়মিত খেলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে উন্নতি হয়। এর তাৎক্ষণিক প্রভাব নাও থাকতে পারে তবে নিয়মিত খেলে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়।

দারচিনি
মশলা হিসেবে ব্যবহৃত দারচিনি ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করে গ্লুকোজ পরিবহন উন্নত করে। প্রতিদিন ১ গ্রাম দারচিনি খাওয়া টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য উপকারী বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

ঢেঁড়স
ঢেঁড়সে থাকা জেলের মত পদার্থ অন্ত্রে শর্করার শোষণ কমায়। রাতে ঢেঁড়সের টুকরো জলতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল পান করা একটি সাধারণ ঘরোয়া টোটকা।
বেল পাতা
বেল পাতায় থাকা এজিলাইন, মারমেলোসিন নামক যৌগ অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাজা বেল পাতার রস নিয়মিত খাওয়া কিছু গ্রামীণ এলাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

চিয়া বীজ
চিয়াতে থাকা আঁশ এবং ওমেগা-3 রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো জলেতে ভিজিয়ে, স্মুদি বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া ভালো।
শেষ কথা...
এই সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, সুষম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। প্রতিটি খাবারই ভালো, তবে একসঙ্গে খেলেই পূর্ণাঙ্গ প্রভাব পাওয়া যায়।


