সংক্ষিপ্ত

কোলেস্টেরল উচ্চ মাত্রা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নেই যেতে পারে।

'স্ট্রেস' বা মানসিক চাপে ভোগা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নানা কারণে মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে। স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত কোলেস্টেরল শরীরে বেড়ে গেলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রা প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের সাথে সম্পর্কিত।

কিডনির উপরে অবস্থিত অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি কর্টিসল নামক হরমোন উৎপাদন করে। শরীরের স্ট্রেস প্রতিক্রিয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোলেস্টেরল উচ্চ মাত্রা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নেই যেতে পারে।

উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ

হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি
মুখে অতিরিক্ত চর্বি জমা
ক্রমাগত ক্লান্তি
অতিরিক্ত তৃষ্ণা
হাড়ের দুর্বলতা, ভাঙার ঝুঁকি বৃদ্ধি
উদ্বেগ, বিষণ্নতা, মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে অসুবিধা
ঘুমের সমস্যা
মাঝেমাঝে মাথাব্যথা

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গ্রিন টি কীভাবে সাহায্য করে?

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জৈবিকভাবে সক্রিয় রাসায়নিক সমৃদ্ধ গ্রিন টি কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি ঘটে ক্যাটচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি গ্রুপের উপস্থিতির কারণে, যা মস্তিষ্ক এবং শরীরের রিসেপ্টরগুলির সাথে আবদ্ধ হয়। ক্যাটচিনগুলি শরীরের স্ট্রেস প্রতিক্রিয়া কমাতে এবং কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এছাড়াও, গ্রিন টিতে এল-থিয়ানাইন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এল-থিয়ানাইন কর্টিসলের চাপ সৃষ্টিকারী প্রভাবগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে এটি স্ট্রেসের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।