সংক্ষিপ্ত
কোনও কোনও মহিলার কাছে এই গর্ভপাত বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। গর্ভপাতের পরে একজন মহিলার শরীরে রক্তের ঘাটতি হয়।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এক মহিলাকে ২৬ সপ্তাহে গর্ভপাত করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মহিলা পোস্ট পার্টাম সাইকোসিস নামক একটি সামনিক রোগে ভুগছিলেন। মহিলা জানিয়েছিলেন এই অবস্থায় সন্তান পালন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও আইনজীবীরা গর্ভপাতের চিকিৎসা শর্তের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
সাধারণ যারা সন্তান চায় না তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড করার পরেই ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে গর্ভাপাত কার হয়েছে। কিন্তু কোনও কোনও মহিলার কাছে এই গর্ভপাত বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। গর্ভপাতের পরে একজন মহিলার শরীরে রক্তের ঘাটতি হয়। রক্তের ঘাটতি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং দুর্বলতার অন্যতম একটি কারণ।
গর্ভপাতের ঝুঁকি আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
১। পেটে ব্যাথা
অনেক সময় অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের কারণে নারীরা নিজের ইচ্ছামত গর্ভপাতের বড়ি খেয়ে থাকেন। এসব বড়ি ব্যবহার করলে গর্ভপাত ঘটতে পারে, তবে এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। এসব বড়ি খেলে শরীর থেকে রক্ত, আয়রন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও বের হয়ে যায়, যার কারণে পেট ও পায়ে ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
২। সন্তান ধারনে সমস্যা
গর্ভপাত নারীর শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের ঘাটতি ঘটাতে পারে, যা গর্ভাবস্থার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে মা হতে সমস্যা হতে পারে।
৩। রক্তশূন্যতার ঝুঁকি
গর্ভপাতের পর শরীরে রক্তের অভাব দেখা দেয়, যার ফলে রক্তশূন্যতার সমস্যা হতে পারে। এ কারণে সারাক্ষণ শরীরে দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন।
৪। বিষন্নতা
গর্ভপাতের পরে, মহিলারা প্রায়শই অস্থিরতা, মেজাজের পরিবর্তন, কান্নাকাটি এবং অনিদ্রা অনুভব করেন। এসবের কারণে অনেক নারী ডিপ্রেশনেরও শিকার হতে পারেন। তাই খুব ভেবেচিন্তে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই গর্ভপাত করানো উচিত।