মস্তিষ্ক সুস্থ থাকলেই আমাদের চিন্তাভাবনাও ভালো থাকে। যখনই মস্তিষ্ক অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন ভালো চিন্তা আসে না। আপনি যা খান তাই আপনার মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে। খারাপ চিন্তা কমাতে কিছু ধরণের খাবার খাওয়া উচিত।
জীবন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। নেতিবাচক চিন্তা বেশি আসছে এবং আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখলে এমন চিন্তা আসে না। মানসিক চাপের কারণে মানুষ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আপনার চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে আপনার খাদ্যাভ্যাস। আপনার খাবারে ভিটামিন বি১২ বা ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এটি মস্তিষ্ককে দুর্বল করে তোলে। নেতিবাচক চিন্তা বেশি করে আসে। খারাপ চিন্তায় মস্তিষ্ক ভরে যায়।
ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি কেন?
মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ থাকলেই আমাদের চিন্তাভাবনাও ভালো থাকে। এগুলোকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন বি১২ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখনই ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি এর অভাব হয়, তখন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তখন রাগ, হতাশা, ক্লান্তি আসে। নেতিবাচক চিন্তাও বেড়ে যায়। তাই ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২ এর অভাব যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নাহলে মানসিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে..
ভিটামিন বি১২ বা ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। কোনো কারণ ছাড়াই দুঃখ বোধ করবেন। সবসময় উদ্বিগ্ন থাকবেন। খুব ক্লান্ত লাগবে। ঘুমও ভালো হবে না। পর্যাপ্ত ঘুম হলেও ক্লান্ত লাগবে। মনে নেতিবাচক চিন্তা বেড়ে যাবে। কোনো কাজে আগ্রহ থাকবে না। মনোযোগ দিতে পারবেন না। এই লক্ষণগুলি বারবার দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন বি১২ বা ভিটামিন ডি এর অভাব আছে।
ভিটামিন বি১২ এর জন্য কী খাবেন?
ভিটামিন বি১২ কিছু খাবারে বেশি থাকে। দুধ, দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খেতে হবে। পনির, দই, ছানা অবশ্যই খাবেন। প্রতিদিন একটি ডিম খাবেন। সপ্তাহে দুই-তিনবার মাছ খাবেন। মুরগিও দুই-তিন দিন অন্তর খাওয়া খুবই জরুরি। শস্যদানা খাবারের অংশ করুন। এগুলো প্রতি সপ্তাহে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে ভিটামিনের অভাব হবে না।
ভিটামিন ডি এর জন্য কী খাবেন?
ভিটামিন ডি কম খাবারে পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি এর জন্য ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদে থাকতে হবে। কিছু ধরণের মাশরুম, স্যামন, টুনা মাছ, ডিমের কুসুম, দুধ, কমলালেবুর রসেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই এগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
খাবারে সবুজ শাকসবজি, পাতাযুক্ত সবজি অবশ্যই রাখুন। প্রতিদিন একটি করে ফল খান। প্রতিদিন দুধ পান করুন। এগুলো থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়। রোদে বসলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন বি১২ বা ভিটামিন ডি এর অভাব বেশি হলে শরীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত। কিন্তু নিজে নিজে চিকিৎসা করবেন না। ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো অবহেলা করলে জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার মতো চিন্তা আসতে শুরু করবে।


