সকালে ঘুম থেকে উঠে পা মাটিতে নামাতেই টনটনিয়ে উঠছে। হাঁটতে চলতে গেলে গাঁটে গাঁটে ব্যথাও অনুভব হচ্ছে। আসছে অকারণ ক্লান্তিবোধ। এসবই হতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ।

গাঁটে গাঁটে ব্যথা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার কারণে হতে পারে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কিছু পানীয় খুব উপকারী হতে পারে, যেমন পর্যাপ্ত জল পান করা, যা কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, লেবু জল, নারকেল জল, আদা চা, তুলসী চা এবং কফি (পরিমাণমতো) পান করা যেতে পারে, কারণ এগুলি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক পানীয়:

১) জল: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে পারে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।

২)লেবুর রস: লেবুর রস গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে অ্যালকালাইন করে তোলে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৩)নারকেল জল: এটি শরীরকে পরিষ্কার রাখতে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।

৪)আদা চা: আদাতে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের কারণে হওয়া গাঁটের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

৫)তুলসী চা: তুলসী চা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

৬)কফি: গবেষণায় দেখা গেছে যে পরিমিত পরিমাণে কফি (প্রতিদিন ১-২ কাপ) ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পারে।

৭)করলার রস: করলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে। এটি ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও সাহায্য করে।

৮)অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: সকালে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে তা ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

* পর্যাপ্ত জল পান করা: ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে জল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দৈনিক ৮-১০ গ্লাস জল পান করার চেষ্টা করুন।

* সুষম খাদ্যাভ্যাস: শুধুমাত্র পানীয় নয়, খাদ্যতালিকায় ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার যেমন আপেল, কমলালেবু, গাজর, এবং বাদাম যোগ করুন।

* ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

* চিকিৎসকের পরামর্শ: গাঁটে গাঁটে ব্যথা বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। উপরের পানীয়গুলি সহায়ক হতে পারে, তবে এগুলো কোনো চিকিৎসার বিকল্প নয়।