ডায়াবেটিস হলে কি তরমুজ খাওয়া যায়? চিকিৎসক ও খাদ্য বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
গ্রীষ্মকাল এলেই আমাদের প্রথমেই মনে পড়ে তরমুজের কথা। রাস্তার ধারে সর্বত্রই তরমুজ দেখা যায়। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটি শরীরকে ঠান্ডাও রাখে। তবে ডায়াবেটিস হলে কি তরমুজ খাওয়া যায়? সংশয় রয়েছে। জেনে নিন

তরমুজ মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকে। মিষ্টি হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হয়।
খাবার নির্বাচনের সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI)। এটি কোন খাবার কত দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় তা নির্দেশ করে।
তরমুজের GI: প্রায় ৭২ — এটি উচ্চ GI শ্রেণীর অন্তর্গত। গ্লাইসেমিক লোড (GL): ১০০ গ্রামে প্রায় ৫, অর্থাৎ নিম্ন GL শ্রেণীর অন্তর্গত।
তরমুজ খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারলেও, একসাথে কম পরিমাণে খেলে এর প্রভাব তেমন একটা পড়ে না।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি তরমুজ খেতে পারবেন?
হ্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খেতে পারেন। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলতে হবে। দিনে প্রায় ১০০-১৫০ গ্রাম (প্রায় ১ কাপ) কাটা তরমুজ খাওয়া যেতে পারে।
এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। রসের চেয়ে টুকরো করে খাওয়া ভালো। কারণ রসে ফাইবার থাকে না এবং চিনি মেশানো হয়।
এটি GI আরও বাড়িয়ে দেয়। আপনার দৈনিক কার্বোহাইড্রেটের সীমা মাথায় রেখে তরমুজ খাওয়ার পরিকল্পনা করুন।
এই ধরনের ব্যক্তিদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে:
* যদি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকে।
* HbA1c এর মাত্রা ৭.৫% এর বেশি হলে।
* আপনি যদি ইনসুলিন নির্ভর চিকিৎসায় থাকেন।
* একসাথে অনেকটা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে।
উপরোক্ত সমস্যা থাকলে তরমুজ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বিঃদ্রঃ এই তথ্যগুলো কেবল প্রাথমিক তথ্য হিসেবে বিবেচনা করুন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেষ্ঠ।

