সংক্ষিপ্ত

ঘনঘন এই ওষুধের সাহায্য নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া বারবার প্যারাসিটামল খাওয়া কতটা সুরক্ষিত, জানেন কি?

একদিকে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব, তার পাশাপাশি একবার বৃষ্টি আর আরেকবার অসহ্য গরমের আবহাওয়ায় বেড়েই চলেছে ভাইরাল জ্বরের দাপট। ব্যস্ত শিডিউলের চাপে জ্বর কমিয়ে তাড়াতাড়ি কাজে লেগে পড়ার জন্য প্যারাসিটামলের সাহায্য নিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু, ঘনঘন প্যারাসিটামল খেলেই বাজতে পারে শরীরের বারোটা। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া বারবার প্যারাসিটামল খাওয়া কতটা সুরক্ষিত, জানেন কি?

ঘনঘন এই ওষুধের সাহায্য নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে দেখা দিতে পারে তলপেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শারীরিক ক্লান্তিজনিত বিবিধ সমস্যা। বহু ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দেয়। অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে প্রবল রক্তচাপ বৃদ্ধি হয়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।

বেশিমাত্রায় প্যারাসিটামল খাওয়ার ফলে শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর দ্বারা লিভার ও কিডনির উপরেও চাপ তৈরি হয়। যার প্রভাবে প্রস্রাব হলুদ হওয়া, চোখ হলদে হয়ে যাওয়া, শরীর নীল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দেয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্যারাসিটামল একটি নিরাপদ ওষুধ। তবে, এটি খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট ডোজ় রয়েছে। দেহে ওজন অনুযায়ী দিনে ৩ থেকে ৪ গ্রামের বেশি প্যারসিটামল খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া দিনে ৬ ঘণ্টা অন্তর আপনি প্যারসিটামল খেতে পারেন। তবে, ডেঙ্গি হলে সাবধান থাকা দরকার। পর পর প্যারসিটামল খাওয়ার পরেও যদি জ্বর না কমে, তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।