সংক্ষিপ্ত
২০৩০ সালের মধ্যে, ভারতে স্থূল শিশুর সংখ্যা ২.৭ কোটিতে পৌঁছতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে শিশুদের স্থূলতা দেখা দেয়।
শিশুদের স্থূলতার সমস্যা এখন সাধারণ হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যায় চিনের পরেই ভারত। পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে ১.৪৪ কোটির বেশি শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। এই নিয়ে এক চমকপ্রদ কথা জানিয়েছে ইউনিসেফ। ২০৩০ সালের মধ্যে, ভারতে স্থূল শিশুর সংখ্যা ২.৭ কোটিতে পৌঁছতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে শিশুদের স্থূলতা দেখা দেয়।
কি বলছেন চিকিৎসকরা-
একই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা দেখা দিলে তা দূর করতে অবিলম্বে সক্রিয় করতে হবে। এই বয়সে ক্যালরি বেশি খরচ হয় কিন্তু শক্তি খরচ কম হয়। এই কারণেই বাচ্চাদের ওজন বাড়তে শুরু করে।
শিশুদের স্থূলতা এই সমস্যার জন্য দায়ী-
শিশুদের স্থূলতার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, অস্টিওআর্থারাইটিস, গলব্লাডার, শ্বাসকষ্ট, হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, শিশুদের স্থূলতাও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
১ বছর বয়সী ছেলে হলে তার ওজন ১০.২ কেজির মধ্যে এবং মেয়ে হলে ৯.৫ কেজি থাকা উচিত। ২ থেকে ৫ বছর বয়সী ছেলে হলে তার ওজন ১২.৩ কেজি থেকে ১৬ কেজির মধ্যে এবং মেয়ে হলে ১২ থেকে ১৫ কেজি থাকা উচিত।
৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শিশু ছেলে হলে হলে তার ওজন ১৪ থেকে ১৭ কেজির মধ্যে এবং মেয়ে হলে ১৪ থেকে ১৬ কেজি থাকা উচিত।
৫ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত শিশু ছেলে হলে হলে তার ওজন ২০ থেকে ২৫ কেজির মধ্যে এবং মেয়ে হলে ১৯ থেকে ২৫ কেজি থাকা উচিত।
৯ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত শিশু ছেলে হলে হলে তার ওজন ২৮ থেকে ৩২ কেজির মধ্যে এবং মেয়ে হলে ২৮ থেকে ৩৩ কেজি থাকা উচিত।
১২ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বাচ্চা ছেলে হলে হলে তার ওজন ৩৭ থেকে ৪৭ কেজির মধ্যে এবং মেয়ে হলে ৩৮ থেকে ৪২ কেজি থাকা উচিত।
১৫ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ছেলে হলে হলে তার ওজন ৫৮ থেকে ৬৫ কেজির মধ্যে এবং মেয়ে হলে ৫৩ থেকে ৫৪ কেজি থাকা উচিত।
কিভাবে শিশুদের স্থূলতা প্রতিরোধ?
পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে খাদ্যতালিকায় ফল ও সবজি বাড়ান
জাঙ্ক-ফুড, পিৎজা-বার্গারের মতো জিনিস থেকে দূরে থাকুন
মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয় বন্ধ করুন
সেই সঙ্গে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ
শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে হবে