Health Tips: চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস নিশ্চয়ই আপনারও আছে? তবে সেই পানীয় যদি সতর্কতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ রেখে দিয়ে খাওয়া হয়, তাহলে তা শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সচেতন হন, গরম গরম চা-কফিই পান করুন।

Health Tips: সকালে ঘুম থেকে উঠে দিনের শুরু হোক বা অফিস ফেরত বিকেলের ক্লান্তি - এক কাপ গরম চা বা কফি বাঙালির কাছে অমৃত। এই প্রিয় পানি ওই দীর্ঘক্ষণ রেখে ঠান্ডা হয়ে গেলে বিষে পরিণত হচ্ছে আপনার শরীরের জন্য। ঘন্টার পর ঘন্টা ফেলে রাখা, ঠান্ডা হয়ে যাওয়া চা ও কফি শুধু স্বাদ হারায় না, বরং শরীরে ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হতে পারে।

রাসায়নিক পরিবর্তন

চা বা কফি বানানোর পর তা দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখলে, তাতে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। থাকে টেনিন, ক্যাফিন, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক যৌগ। এগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় উপকারী হলেও, দীর্ঘক্ষণ বাতাসে রেখে দিলে এগুলোর অক্সিডেশন শুরু হয়। এর ফলে উৎপন্ন হয় ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যাল, যা শরীরে বিষক্রিয়ার মতো কাজ করতে পারে।

কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে?

* অ্যাসিডিটি ও গ্যাস : অতিরিক্ত টেনিন ও অক্সিডাইজড ক্যাফিন হজমে বাধা দেয়।

* বমিভাব ও মাথা ঘোরা : চাওয়া কফির প্রাকৃতিক কিছু যৌগ দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখার ফলে পচে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে।

* পাচনতন্ত্রের গোলমাল : ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পাওয়ায় ইনফেকশন ও পেটের সমস্যা হতে পারে

* লিভারে চাপ : টক্সিক উপাদান লিভারকে অতিরিক্ত চাপ দেয়।

* ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয় : নিয়মিত এভাবে চা-কফি খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে।

কখন ও কীভাবে খাবেন চা বা কফি?

বিশেষজ্ঞরা বলেন, চায়ের পাতা বা কফির গুঁড়ো বেশিক্ষণ জলে ফুটানোও ক্ষতিকর। চা বা কফি তৈরির ৩০ মিনিটের মধ্যে পান করে নেওয়া উচিত। একেবারে অধিক পরিমাণে না বানিয়ে যতটা খাবেন ততটাই বানান। অনেকক্ষণ রেখে দিয়ে বা বারবার গরম করা একদম এড়িয়ে চলুন। সংরক্ষণ করে রাখার দরকার নেই।

অনেকেই চিল্ড কফি খেতে ভালোবাসে, তাই ফ্রিজে তা রাখার আগে যে পাত্রে কফি তৈরি করছেন তার মান যাচাই করে নিন। কাচ বা ফুডগ্রেড স্টিলের পাত্র ব্যবহার করুন। বানানোর রাখার ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যেই কনজিউম করুন। দ্বিতীয় বার গরম করার প্রয়োজন নেই।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।