সংক্ষিপ্ত
শীতকালে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব মূলত হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এটি রক্ত সঞ্চালনকে আরও মন্থর করে তুলতে পারে। ফলে হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া এবং তীব্র ক্লান্তির সৃষ্টি হয়।
শীতকালে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। সর্দি ও কাশির সমস্যা তো আছেই এই সঙ্গে দেখা দেয় আরও জটিলতা। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন তা ভেবে বের করা কঠিন। এই সময় অনেকেই বিপদে পড়েন। সর্দি কাশির সমস্যা তো কোনও ভাবে নির্মূল করা যায়। আজ রইল আরও এক কঠিন জটিলতার কথা। শীতের সময় ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা রক্ত সঞ্চালনের ওপর খারাপ প্রভাবে ফেলে। ঠান্ডা তাপমাত্রা রক্তনালীর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুলে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়। ফলে হৃৎপিণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
শীতকালে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব মূলত হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এটি রক্ত সঞ্চালনকে আরও মন্থর করে তুলতে পারে। ফলে হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া এবং তীব্র ক্লান্তির সৃষ্টি হয়।
'শীতকালের ঠান্ডা বাতাস ফুসফুসকে শক্ত করে তোলে। ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাস শ্বাস নেওয়া কখনও কখনও শ্বাসনালীকে জ্বালাতন করতে পারে। বিশেষ করে যাদের হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে...' - নবি মুম্বাইয়ের মেডিকোভার হাসপাতালের পরামর্শদাতা পালমোনোলজিস্ট ডাঃ শাহিদ প্যাটেল বলেন।
শ্বাসকষ্ট, শ্বাসরোধ, গলা ব্যথা, কাশি ইত্যাদি হল ফুসফুসের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার লক্ষণ। শীতকালে পরিবর্তনশীল আবহাওয়া অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। গ্রীষ্মকালে সূর্যালোকের অভাবের কারণে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে পারে। ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস সূর্যালোক, এমনটিই উল্লেখ করেছেন অ্যাপোলো স্পেক্ট্রা পুনের ইন্টার্নাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সম্রাট শাহ।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার খাওয়া নিশ্চিত করুন। পর্যাপ্ত জল পান করুন। প্রতিদিন একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এবার থেকে সুস্থ থাকতে চাইলে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলুন। তেমনই নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। তা না হলে আরও জটিলতা দেখা দেবে। সঠিক পরামর্শ মেনে চললে মিলবে উপকার।