সংক্ষিপ্ত
সকলেই বলে থাকেন, বাড়ির খাবার মানে তা স্বাস্থ্যকর। সে কারণে যতই তেল দিন বা যতই ভাজাভুজি খান, তাতে কোনও ক্ষতি নেই। এমন ধারণা যে একেবারে ভুল তা কি জানেন? রান্নার তেল মোটেও শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এই রান্নার তেল থেকে হতে পারে ক্যান্সার।
আজকাল মানুষের খাদ্য ও জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। প্রাচীনকালে যেখানে খাবারে সরষের তেল বা ঘি ব্যবহার করা হত, সেখানে এখন রিফাইন্ড তেল মানুষের রান্নাঘরে জায়গা করে নিয়েছে। আজকাল বেশিরভাগ মানুষ খাবারের জন্য শুধুমাত্র পরিশোধিত তেল ব্যবহার করছে। রিফাইন্ড অয়েল, যা অল্প সময়ে মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
সকলেই বলে থাকেন, বাড়ির খাবার মানে তা স্বাস্থ্যকর। সে কারণে যতই তেল দিন বা যতই ভাজাভুজি খান, তাতে কোনও ক্ষতি নেই। এমন ধারণা যে একেবারে ভুল তা কি জানেন? রান্নার তেল মোটেও শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এই রান্নার তেল থেকে হতে পারে ক্যান্সার। উঠে এল এমনই তথ্য।
ক্রমে বেড়ে চলেছে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের প্রসার। ছোট থেকে বড় সকলের শরীরে বাসা বাঁধছে এই রোগ। কেড়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ। তবে, ঠিক কী কারণে ক্যান্সার হয় তার সঠিক তথ্য প্রমাণ এখনও মেলেনি। তথ্য সদ্য প্রকাশিত হওয়া একটি তথ্য চমক দিয়েছে সকলকে। জানা গিয়েছে, রান্নার তেল থেকে ছড়াতে পারে ক্যান্সার।
আপনি যদি আপনার খাবারে নিয়মিত পরিশোধিত তেল ব্যবহার করেন, তাহলে তা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিশোধিত তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই এর অসুবিধাগুলো সম্পর্কে জেনে নিন-
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি
তেলের বিশুদ্ধ রূপ আঠালো এবং গন্ধযুক্ত। এইভাবে, পরিশোধিত তেল তৈরির সময়, এতে উপস্থিত গন্ধ সম্পূর্ণরূপে দূর হয়। এর মধ্যে উপস্থিত এই গন্ধটি হল প্রোটিন উপাদান, যা অপসারণের ফলে পরিশোধিত তেলে প্রোটিনের পরিমাণ নষ্ট হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে এটি নিয়মিত খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
রিফাইন্ড তেল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর
পরিশোধিত তেল তৈরির প্রক্রিয়া চলাকালীন, এটি থেকে কেবল গন্ধই নয়, এর প্রাকৃতিক লুব্রিসিটিও দূর হয়। এমন পরিস্থিতিতে নন-লুব্রিকেটিং তেল ব্যবহার করলে ত্বকে বলিরেখা, শুষ্কতা, ব্রণসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় না
আমাদের শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এতে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পরিশোধিত তেল ব্যবহারে শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এটি নিয়মিত সেবন করলে অল্প বয়সে জয়েন্ট ও কোমর ব্যথার সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয়, এর ফলে চোখ, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও বহুগুণ বেড়ে যায়।
হৃদরোগকে আমন্ত্রণ জানায়
প্রতিদিনের খাবারে পরিশোধিত তেল ব্যবহার করলে শরীর HDL অর্থাৎ উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন পায় না। এ কারণে মানুষের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।