ওজন কমানোর জন্য হাঁটার উপকারিতা: প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতা জানুন! এটি কেবল ওজন কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, দ্রুত বা ধীর, কোন হাঁটা বেশি উপকারী? জানতে পড়ুন!

আজকালকার জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষ ডায়াবেটিস, স্থূলতা ইত্যাদি নানা রোগে ভুগছেন। ডাক্তারদের কাছে যখন এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তারা বলেন যে অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং শারীরিক পরিশ্রম না করা এর প্রধান কারণ। এর সমাধান হল প্রতিদিন হাঁটা, এমনটাই পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন হাঁটলে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতা

প্রতিদিন হাঁটলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে।

প্রতিদিন হাঁটলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে।

এটি শরীরের মেটাবলিজমও বাড়ায়।

প্রতিদিন হাঁটলে ইনসুলিনের কাজ ভালো হয়। এর ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

হাড়ের জোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে জোড়ের ব্যথা কমে।

অস্টিওপোরোসিস এবং বাতের মতো রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

প্রতিদিন হাঁটলে মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসরণ হয় যা মনকে ভালো রাখে। মনে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এন্ডোরফিন একটি হরমোন যা মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা কমায়। একে হ্যাপি হরমোনও বলা হয়।

প্রতিদিন হাঁটলে ভালো ঘুম হয়। বিশেষ করে যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য হাঁটা খুবই উপকারী।

প্রতিদিন হাঁটলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ভালো হয়।

ওজন কমানোর জন্য হাঁটার পদ্ধতি

হাঁটার অনেকেরই বোঝা যায় না কিভাবে হাঁটতে হবে। অর্থাৎ দ্রুত গতিতে হাঁটলে বেশি উপকার হয়? নাকি ধীর গতিতে দীর্ঘ পথ হাঁটলে বেশি উপকার হয়? একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে দীর্ঘ সময় ধরে ধীর গতিতে হাঁটলে, অল্প সময়ে দ্রুত গতিতে হাঁটার তুলনায় বেশি ক্যালোরি পোড়ে।

১. গতি এবং দ্রুতি:

৩০ মিনিটের হাঁটা: ৩০ মিনিটে ৫০০০ পা হাঁটতে দ্রুত গতিতে হাঁটতে হবে। কিন্তু অল্প সময়ে হাঁটা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে চর্বি পোড়ার পর্যায়ে পৌঁছাতে সমস্যা হতে পারে।

১ ঘণ্টার হাঁটা: ৫০০০ পা ১ ঘণ্টায় হাঁটার অর্থ হল ধীর গতিতে হাঁটা। গতি কম হলেও, দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটলে শরীরে চর্বি পোড়ার সম্ভাবনা বেশি।

২. সঠিক শক্তির ব্যবহার:

দ্রুত হাঁটা (৩০ মিনিট): ক্যালোরি পোড়ে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে চর্বি পোড়ে না।

ধীর হাঁটা (১ ঘণ্টা): ধীর গতিতে দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটলে শরীরের বেশিরভাগ চর্বি পোড়ে।

৩. ব্যায়ামের পর শক্তি (EPOC):

১ ঘণ্টা মাঝারি গতিতে হাঁটলে আপনার শরীর অ্যারোবিক সিস্টেমের অবস্থায় আসে। অ্যারোবিক সিস্টেম শরীরে শক্তি তৈরির একটি উপায়। এটি অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীল। ১ ঘণ্টা মাঝারি গতিতে হাঁটলে, হাঁটা শেষ হওয়ার পরেও ক্যালোরি পোড়ে। ৩০ মিনিটের দ্রুত গতির ব্যায়ামের পর শরীর দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে ক্যালোরি কম পোড়ে।