সংক্ষিপ্ত
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন করার বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বা খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। এছাড়া রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া ও সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক রোগ খুব দ্রুত বাড়ছে। এই বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে প্রধান হল খারাপ জীবনধারা, প্রক্রিয়াজাত খাবার সমৃদ্ধ খাদ্য, তামাক এবং অ্যালকোহল গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি। এর মধ্যে চমকে দেওয়ার মত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। এক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শরীরে। ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন করার বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বা খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। এছাড়া রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া ও সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া দরকার। যা আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। জেনে নিন কীভাবে মাত্র ১৫ দিনেই রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো যায়।
১. সকাল ৯টার আগে ২০ মিনিট সূর্যের আলোয় কাটান। আধ ঘণ্টা বা ৪৫ মিনিট হাঁটুন ও ব্যায়াম করুন সকালেই।
২. প্রতিদিন আমলা ও হলুদ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এজন্য ১ চা চামচ আমলা ও ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খাবারের এক ঘণ্টা আগে খান।
৩. একদিন পরপর কিংবা সপ্তাহে অন্তত দু'বার সকালের জলখাবার বা রাতের খাবারে লাউ বা সজনের স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
৪. চিকিৎসকরা চিনি, দই, ডিপ ফ্রাইয়ের খাবার, সাদা ময়দা সীমিত করার পরামর্শ দেন। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের পরে বজ্রাসনে বসুন।
৫. এই আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বলেন, মন্ডুকাসন, শশাঙ্কাসন, ভুজঙ্গাসন, বালাসন ও ধনুরাসনের মতো যোগাসন অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মত অনুশীলন করা উচিত।
৬. এমনকি কপালভাতি ও অনুলোমা-ভিলোমার মতো প্রাণায়ামগুলোও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-১০ হাজার পা হাঁটুন।
৭. রাতের খাবার হালকা রাখুন। যেমন- বেসন/রাগি/ভেজিটেবল স্যুপ বা মসুর ডাল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।