Health News: দ্রুত পালটে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ঠান্ডা পড়তেও শুরু করেছে। এই সময় সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগতে দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষকে। 

Health News: এই সময় আবহাওয়া পরিবর্তন এর সময়। জ্বর সর্দি কাশি সব সময় লেগেই থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেকেরই প্রায় কম বেশি করে সর্দি কাশির উপক্রম দেখা দেয়।

এই উপসর্গগুলি সাধারণ সর্দি-কাশি ভেবে ভুল করা ঠিক নয়, কারণ শীতকালে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ে এবং এর লক্ষণগুলো সাধারণ সর্দির থেকে আলাদা। নিউমোনিয়া হলে ফুসফুসের বায়ুথলিগুলোতে (alveoli) তরল বা পুঁজ জমে এবং এর ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সাধারণ সর্দি-কাশির প্রধান লক্ষণগুলি হল গলা ব্যথা এবং নাক দিয়ে জল পড়া, কিন্তু নিউমোনিয়ায় প্রধানত কাশি হয়, যা কফযুক্ত হতে পারে এবং এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর ও কাঁপুনি দেখা দেয়।

নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ:- 

১) জ্বর এবং কাঁপুনি: নিউমোনিয়ায় প্রায়শই উচ্চ মাত্রার জ্বর হয়, যা সর্দি-কাশিতে তেমন দেখা যায় না।

২) কাশি: সর্দি-কাশিতে সাধারণত শুকনো কাশি হয়, কিন্তু নিউমোনিয়ায় কফযুক্ত কাশি হয়।

৩) শ্বাসকষ্ট: ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলে।

৪) বুকে ব্যথা: নিউমোনিয়ায় শ্বাস নেওয়ার সময় বা কাশির সময় বুকে ব্যথা হতে পারে।

৫) ক্লান্তি: খুব বেশি দুর্বল এবং ক্লান্ত লাগতে পারে।

* কেন শীতকালে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ে:

১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে: ঠান্ডা আবহাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধা দেয়।

২) ভেতরের পরিবেশে বেশি সময় কাটানো: শীতকালে মানুষ বাড়ির ভেতরে বেশি সময় কাটায়, যার ফলে সংক্রমণ ছড়ানো সহজ হয়।

৩) দূষিত বাতাস: বাড়ির ভেতরে দূষিত বা অপরিষ্কার বাতাস থাকলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি সহজ হয়।

** কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন:

যদি উপরের লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

বিশেষত যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হয় বা বুকে ব্যথা হয়।

যদি আপনার জ্বর থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

** প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং ভিড় এড়িয়ে চলা।টিকা নেওয়া। পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত ঘরে থাকা।

প্রয়োজনে ভিটামিন সি গ্রহণ করা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।