Murshidabad Rape Case: নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে অবশেষে রায় ঘোষণা আদালতের। ১০ বছরের কারাদণ্ড অভিযুক্তের। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Murshidabad Crime News: মুর্শিদাবাদে ইসলামপুর থানা এলাকার নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় অবশেষে সাজা ঘোষণা করল আদালত।। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলার পর দোষী সাব্যস্ত হলো ইসলামপুরের পাহাড়পুর পমাইপুর এলাকার বাসিন্দা সাকিফুল শেখ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ধর্ষিতা ওই কিশোরীা গিয়েছিলেন দিদির বাড়িতে। রাত এগারোটার সময় প্রকৃতির ডাকে তাকে বাইরে বেড়াতে হয় শৌচকর্ম করবার জন্য। কারণ গ্রামের বাড়ি শৌচালয় সেখানে ছিল না। অপরাধী তাকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। গ্রামে সেদিনকে কীর্তন চলছিল , কীর্তনের আওয়াজে মেয়েটির চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি।
লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েটির থানায় পৌঁছাতে সময় লেগে যায় প্রায় এক মাস। ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ২৫ মার্চ ২০১৫ । দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলাকালীন ছয়জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। এরপর চলতি মাসের ১৪ নভেম্বর অভিযুক্ত দোষী বলে সাব্যস্ত হয়। শনিবার সাজা ঘোষণা করা হয়।
জানা গিয়েছে, শনিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জুডিশিয়াল স্পেশাল কোর্টের বিচারক জিতেন্দ্র গুপ্তা রায় ঘোষণা করেন। দোষীকে ১০ বছরের কঠোর কারাদণ্ড ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে সাকিফুলকে।
এ ছাড়াও নির্যাতিতার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলায় নির্যাতিতার পক্ষে সরকারি আইনজীবী হিসেবে ছিলেন শাহানা পারভীন ও মুকলেস আহমেদ। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার অবসান ঘটিয়ে এই রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে কিশোরীর পরিবার।
অন্যদিকে, গোকর্ণে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে আইসির মাথা ফাটার ঘটনায় গ্রেফতার ১৩। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার গোকর্ণ মাজারের ধার পশ্চিমপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিবাদ থামতে গিয়ে মাথা ফাটে কান্দি থানার আইসি মৃনাল সিনহার এছাড়াও সহ দুই পুলিশ কর্মী আহত হয় । এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কান্দি থানার পুলিশ । শনিবার ধৃত ১৩জনের মধ্যে ৬ই অভিযুক্ত কে ১০দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছয় অভিযুক্তের নাম পিওন সেখ ওরফে তাজের আলি, মিরাজুল সেখ, সাদিকুল সেখ, জাইরুল সেখ, মফিরুল সেখ এদের সকলের বাড়ি কান্দি থানার মাজারেরধার গ্রামে ।এবং মোজাক্কার সেখ ওরফে ময়া হাজীর বাড়ি খোসবাসপুর গ্রামে।
কান্দি মহকুমায় আদালতে বিচারক সেলমি অর্নবি দাস সমস্ত কাগজপত্র দেখে তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ৪দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বাকি ৭ অভিযুক্তকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিশ ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


