সংক্ষিপ্ত
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণগুলো গুরুতর বা শেষ পর্যায়ে দেখা যায়। পাকস্থলীর ক্যান্সার বাড়তে সাধারণত কয়েক বছর সময় লাগে।
পাকস্থলীর ক্যানসার তখন হয় যখন ক্যানসার কোষ পাকস্থলীর আস্তরণের ভিতরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার নামেও পরিচিত। সময় মতো এটি সনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কারণ বেশিরভাগ লোক প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলি দেখা দেয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণগুলো গুরুতর বা শেষ পর্যায়ে দেখা যায়। পাকস্থলীর ক্যান্সার বাড়তে সাধারণত কয়েক বছর সময় লাগে।
প্রাথমিক পর্যায়ে পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণগুলো প্রায় নেই বললেই চলে। ধীরে ধীরে আপনি এর কিছু লক্ষণ দেখতে শুরু করেন। এই সময় পেটের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই প্রাথমিক পর্যায়ে পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কী হতে পারে?
পেট ক্যান্সারের লক্ষণ-
পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারে। আপনি যদি ক্রমাগত এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন তবে অবিলম্বে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
পেট ফুলে যাওয়া
দীর্ঘদিন ধরে পেট ফুলে থাকার অভিযোগও পাকস্থলীর ক্যান্সারের দিকে ইঙ্গিত করতে পারে।
বুকে জ্বলা সেই সঙ্গে ব্যথা
পেটের ক্যান্সারের কারণে, একজনকে বুকে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়ার সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
কম খাওয়ার পরেও পূর্ণতা অনুভব করা
কম খাওয়া সত্ত্বেও খুব পেট ভরা থাকাটাও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ইঙ্গিত দেয়।
পেট সংক্রমণ
পাকস্থলীতে ইনফেকশন বা ক্যানসারের সমস্যা হলে জ্বরের মতো অনুভূতি হতে থাকে।
পেট ব্যথা
পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদেরও পেট ব্যথার সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
মল থেকে রক্তপাত
আরও পড়ুন- মধুমেহ রোগীদের জন্য চিনির বদলে গুড় না মধু কোনটা বেশি উপকারী, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
আরও পড়ুন- এই রাখি উৎসবে বোনকে সেরা উপহার দিন, এই পাঁচটি ড্রাই ফুট্রুস দিন যা তাকে চিরদিন ফিট রাখবে
আরও পড়ুন- ফেসিয়াল ফ্যাট বৃদ্ধি পেটের বহু ব্যাধি নির্দেশ করে, জেনে নিন এই লক্ষণগুলি
মল থেকে রক্তপাতও পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
দীর্ঘ সময় ধরে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণ হতে পারে কোলন ক্যান্সার।
পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর রক্তের লোহিত কণিকা উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করে।
যদি আপনার শরীরে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যাতে সময় মতো আপনার চিকিৎসা শুরু করা যায়।