সংক্ষিপ্ত
চিকিৎসকদের পরামর্শ হল যথাসময়ে PCOD চিকিৎসা করানো। একটানা বসে না থেকে কাজের ফাঁকে উঠে সামান্য হলেও হাঁটাচলা করা। এই রোগ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তা বিষণ্ণতারও কারণ হতে পারে।
ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং একটানা বসে বসে কাজ মহিলাদের জীবনে মারাত্মক সমস্যা নিয়ে আসছে। এই কারণে অনেক মহিলা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম রোগের শিকার হচ্ছেন। প্রজনন যুগে মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। উদ্বেগের বিষয় যে এই রোগটি তার মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করছে। এমতাবস্থায় চিকিৎসকদের পরামর্শ হল যথাসময়ে PCOD চিকিৎসা করানো। একটানা বসে না থেকে কাজের ফাঁকে উঠে সামান্য হলেও হাঁটাচলা করা। এই রোগ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তা বিষণ্ণতারও কারণ হতে পারে।
আমেরিকায় দুই লাখ মহিলার ওপর চালানো এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পিসিওডিতে ভুগছিলেন এমন মহিলাদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্নতায় ভোগার ঝুঁকি ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই রোগ দীর্ঘ সময় শরীরে থাকলে এর প্রভাব মানসিক অবস্থার ওপর পড়তে শুরু করে। PCOD-এ আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে সেরোটোনিনের মাত্রা কমতে থাকে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
PCOD রোগ কি-
নয়াদিল্লি এইমস-এ, ডাঃ রীমা দাদা বলেছেন যে PCOD রোগের প্রধান কারণ হল দুর্বল জীবনধারা। এই রোগের কারণে মহিলাদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়। এতে স্থূলতা বাড়ে। চুল পড়া শুরু হয় এবং পিরিয়ডও সময় মতো হয় না।
এই সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে নারীরাও বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারেন। PCOD-এ আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও দেখা যায়। এটি ঘটে কারণ PCOD এর কারণে শরীরে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনের কারণে মহিলারা বিরক্ত হন। এটি উদ্বেগ সৃষ্টি করে, যা ধীরে ধীরে বিষণ্নতার রূপ নিতে শুরু করে।
একজন ডাক্তার দেখান
যদি কোনও মহিলা দীর্ঘদিন ধরে কোনও কিছু নিয়ে চিন্তিত থাকেন। মনে সবসময় খারাপ চিন্তা আসে এবং নার্ভাসনেস থাকে, তাহলে এগুলো খারাপ মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ। এই পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।